ঢাকা: বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে হুন্ডিতে টাকা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রবাসীরা। এতে হঠাৎ কমে যায় রেমিট্যান্সের প্রবাহের গতি। ফলে টানা তিন মাস রেমিট্যান্স দুই বিলিয়নের বেশি এলেও জুলাই মাসে হঠাৎ করেই তা কমে যায়।
সরকার পতনের আন্দোলনের তীব্রতায় চলতি আগস্টের শুরুতেও কমে যায় রেমিট্যান্স। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই বৈধপথে রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ বাড়তে শুরু করে।
বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি মাসের ১৭ তারিখ পর্যন্ত দেশে আসা প্রবাসী আয়ের তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে, সর্বশেষ সাত দিনে গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৯ কোটি ২৮ লাখ মার্কিন ডলার। সাধারণত দেশে প্রবাসী আয়ের দৈনিক গড় হচ্ছে সর্বোচ্চ ৭-৮ কোটি ডলার। নতুন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রেমিট্যান্সের গতি বাড়তে শুরু করেছে।
গতকাল সোমবার (১৯ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, চলতি আগস্টের প্রথম ১৭ দিনে দেশে বৈধপথে ১১৩ কোটি ৪২ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এর মধ্যে ৪ থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত এসেছে ৩৮ কোটি ৭১ লাখ ২০ হাজার ডলার আর ১১ থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত এসেছে ৬৫ কোটি ১৪ লাখ ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি মাসের ১৭ আগস্ট পর্যন্ত দেশে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে, এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৫ কোটি ২৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৭৬ লাখ ৯০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৯৪ কোটি ১৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২১ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
তবে আলোচিত সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ১০টি। এর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রীয় বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব)। বেসরকারি খাতের কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, সীমান্ত ব্যাংক। বিদেশি খাতের ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।
আপনার মতামত লিখুন :