ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে চীনা রাষ্ট্রদূতের অনুদান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২৪, ০৩:০০ পিএম

প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে চীনা রাষ্ট্রদূতের অনুদান

ছবি, সংগৃহীত, প্রধান উপদেষ্টার সাথে চীনা রাষ্ট্রদূত

ঢাকা: বন্যার্তদের জন্য গঠিত প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে ২০ হাজার মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। বাংলাদেশের বন্যা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে সহানুভূতি ও আন্তরিকতা প্রকাশ করেছেন তিনি। রোববার (২৫ আগস্ট) ঢাকায় নিযুক্ত চীনা দূতাবাস এ তথ্য জানায়।

বৈঠকে রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন জানান, বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপক প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি দেখে তিনি মর্মাহত। তিনি হতাহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা এবং তাদের পরিবার, আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা প্রকাশ করেন। প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশিরা দুর্যোগ কাটিয়ে উঠবে এবং তাদের বাড়িঘর পুনর্নির্মাণ করবে।

রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, দুই দেশ ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারত্ব এবং চীনা জনগণ বাংলাদেশি জনগণের দুঃখ-কষ্ট ভাগ করে নেয়। এইভাবে চীন বাংলাদেশকে দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়তা করার চেষ্টা করছে। আমাদের দুই দেশের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী চীনের সংশ্লিষ্ট এজেন্সি প্রতিদিন যথাক্রমে সকাল ও বিকালে দুইবার বাংলাদেশকে উজানের নদীর জলবিদ্যুৎ সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করছে।

তিনি জানান, চীনের রেড ক্রস সোসাইটি জরুরি মানবিক সহায়তার জন্য বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিকে নগদ এক লাখ ডলার অনুদান দেবে। চীনা দূতাবাস প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে ২০ হাজার ডলার অনুদান এবং ফেনী ও অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষের জন্য ৬  মিলিয়ন টাকার খাদ্য ও অন্যান্য ত্রাণ সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশে চীনা উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ আগস্ট পর্যন্ত  ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায়  ৪ মিলিয়ন নগদ টাকা ও প্রায় ৩.৬ মিলিয়ন টাকা মূল্যের ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে চীন। এই সহায়তা অব্যাহত রেখেছে দেশটি।

এদিকে, দেশে চলমান বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে ১২ জেলার অন্তত ৭৭টি উপজেলা। এসব বন্যাকবলিত এলাকা থেকে শনিবার পর্যন্ত অন্তত ১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও ছিল না কোন উন্নতি। তবে ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লাসহ কয়েকটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। কিন্তু বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আরবি/এস

Link copied!