ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

রহস্যজনক হয়রানির শিকার সোহেল তাজ, দৃষ্টি আকর্ষণ প্রধান উপদেষ্টার

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ২৯, ২০২৪, ০২:২৪ পিএম

রহস্যজনক হয়রানির শিকার সোহেল তাজ, দৃষ্টি আকর্ষণ প্রধান উপদেষ্টার

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদের ছেলে সোহেল তাজকে একজন মোটরসাইকেল আরোহী সংসদ ভবন এলাকা থেকে ফলো করতে করতে সেনানিবাসের মধ্যে চলে যান। সেখানে গিয়ে তার গাড়ি থামান। পরে আবার ফিরেও যান।

বুধবার (২৮ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি জানান, রাতে একটি ‘আতঙ্কজনক ও রহস্যজনক ঘটনার শিকার’ হয়েছেন।

সোহেল তাজের ভাষ্য অনুযায়ী ঘটনাটির সময়কাল রাত ১০টা ৫০ মিনিট থেকে ১১টা পর্যন্ত। স্থান সংসদ ভবন এলাকা থেকে ক্যান্টনমেন্ট (ভেতরের এলাকা) পর্যন্ত। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও সেনাবাহিনী প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি।

ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, আজকে (বুধবার) রাতে কাজ থেকে ফেরার সময় খুবই আতঙ্কজনক ও রহস্যজনক একটি ঘটনার শিকার হই। একজন মোটরসাইকেল আরোহী আমাকে সংসদ ভবন থেকে ফলো করে ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে চলে আসে এবং একটা সময় তার বুকে লাল-নীল বাতি জ্বালিয়ে আমাকে থামতে বলে। আমি থামার পর তার পরিচয় জানতে চাই এবং আমাকে কেন থামতে বলা হলো, তা তাকে জিজ্ঞেস করি। প্রত্যুত্তরে তিনি আমাকে বলেন, তাদের লোক আসছে। আমাকে তাদের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে লিখেছেন, আমি আবারও তার পরিচয় জানতে চাইলাম। তাকে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি আমাকে চিনতে পেরেছেন কিনা। জবাবে বললেন, আমি আপনাকে চিনি, আপনি সোহেল তাজ। তারপর মোবাইল ফোনে বললেন, তিনি আমাকে থামিয়েছেন এবং অবস্থান জানিয়ে তাদের আসতে বললেন। আমি আবার তার পরিচয় জানতে চাইলাম। কারা আসছে আর কেন আমাকে থামিয়েছে, জানতে চাইলাম। কোনো উত্তর না দিয়ে তিনি আবার ফোনে কথা বললেন। এরপর আমাকে বললেন, চলে যেতে। আর তিনিও মোটরসাইকেল ঘুরিয়ে চলে গেলেন।

গাজীপুর-৪ আসনের আওয়ামী লীগের এ সাবেক সংসদ সদস্য আরও লিখেছেন– তার কথা বলার ধরন ও আচরণে আমি একেবারে কনফিডেন্ট (আত্মবিশ্বাসী) যে, তিনি কোনো গোয়েন্দা সংস্থার লোক। এভাবে মানুষকে যাতে হয়রানি করা না হয়, সেটাই ছিল আমাদের সকলের প্রত্যাশা। এখন দেখা যাচ্ছে, একই কায়দায় সব চলছে। ছি ছি!

ফেসবুকের ওই পোস্টের শেষে তিনি বলেন, এই ঘটনার তদন্ত করা প্রয়োজন। ক্যান্টনমেন্টের জাহাঙ্গীর গেটের প্রবেশপথের হাই রেজুলেশন ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ দেখলেই ধরা পড়বে, কে এই মোটরসাইকেল আরোহী। সময় রাত ১০টা ৫০ মিনিট থেকে ১১টা। আমার গাড়ি এই সময়ের মধ্যে প্রবেশ করে এবং পেছনেই এই মোটরসাইকেল আরোহী ছিল।

আরবি/জেআই

Link copied!