ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ

আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনে জমা ছাড়িয়েছে ১০০ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: আগস্ট ৩০, ২০২৪, ০৯:০১ পিএম

আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনে জমা ছাড়িয়েছে ১০০ কোটি টাকা

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ভারতীয় ঢল ও টানা বৃষ্টিতে দেশের ১২টি জেলায় সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ বিতরণে বড় ভূমিকা রেখে যাচ্ছে শায়খ আহমাদুল্লাহর আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন।

বন্যার্তদের জন্য তিন ধাপে ত্রাণ বিতরণ ও বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনের জন্য এ বছর সর্বমোট ১০০ কোটি টাকার সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল ফাউন্ডেশনটির চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ। সেই টার্গেট পূরণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আজ শুক্রবার (৩০ আগস্ট) গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানিয়েছেন, বন্যার্তদের জন্য আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনে অনুদান ১০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকালে এই ১০০ কোটি টাকার মাইলফলক পার হয় বলে জানান তার অফিস স্টাফ।

তিনি বলেন, মানুষের অনুদান ও দান করতে এখন কোনো প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় না। একটা সময় ছিল- যখন মানুষ কোনো দান করলে, কেনো এখানে টাকা দেওয়া হলো এই প্রশ্নের মুখে পড়তে হতো। কিন্তু সেই ভয়টা না থাকায় এখানে অনুদানের পরিমাণটা অনেক বেড়েছে।

এর আগে সোমবার (২৬ অক্টোবর) নিজের ফেসবুক পেজে লাইভে তিনি বলেছিলেন, সর্বমোট ১ লাখ ৬০ হাজার পরিবারের জন্য খাবারের আয়োজনসহ আরও ৫ হাজার পরিবারের জন্য থাকবে পুনর্বাসন কার্যক্রম। বন্যা পরবর্তী এ পুনর্বাসনে দেওয়া হবে টিন ও নগদ টাকা।

আস-সুন্নাহ বন্যা পুনর্বাসন কার্যক্রমে টিন ও নগদ টাকা প্রদানের পাশাপাশি নতুন করে যোগ করা হয়েছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, কৃষক ও মৃতদের পরিবারকে। তাদের দেওয়া হবে উপযুক্ত সহায়তা। ব্যবসায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা যেন ঘুরে দাঁড়াতে পারেন সেই সহযোগিতা করা হবে। কৃষকদের সহায়তা দেওয়া হবে ক্ষতির রেশিও অনুযায়ী। যেমন কারও একটি গরু ছিল কিন্তু বন্যায় মারা গেছে, তাদের বাছুর কিনে দেওয়া হবে যেন তারা নতুনভাবে শুরু করতে পারেন।

মৃতদের পরিবারকেও উপযুক্ত সহায়তা দেওয়া হবে। যেমন একমাত্র উপার্জনের মানুষটি যে পরিবারে মারা গেছেন, সেই পরিবারকে স্বাবলম্বী হওয়ার একটি উপায় বের করে দেওয়া হবে। আস-সুন্নাহ চেয়ারম্যান বলেন, সর্বসাকুল্যে এ বছর আমরা ১০০ কোটি টাকার ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করব ইনশাআল্লাহ।

ইতিমধ্যে দুই থেকে আড়াই হাজার মেট্রিকটন খাদ্যসামগ্রী বিতরণের পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়ে গেছে। যা বিতরণের কাজ চলমান রয়েছে। সেইসঙ্গে গোখাদ্য, সেনিটারি ন্যাপকিন ও কাপড়চোপড়সহ বাচ্চাদের জন্যও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেওয়া হচ্ছে।

আরবি/ এইচএম

Link copied!