ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ঢামেকে চিকিৎসকদের ওপর হামলা

গ্রেপ্তার জয়কে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০২৪, ১০:১২ পিএম

গ্রেপ্তার জয়কে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় গাইবান্ধা থেকে গ্রেপ্তার সঞ্জয় পাল জয়কে ঢাকার শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে শাহবাগ থানা পুলিশের একটি টিম সঞ্জয়কে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়।

এরআগে আজ ভোর ৪টার দিকে গাইবান্ধা শহরের বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে সঞ্জয়কে গ্রেপ্তার করে গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশ। সঞ্জয় পাল গাইবান্ধা শহরের বারিধারা আদর্শ পাড়ার রঞ্জিত পালের ছেলে এবং রাজধানীর বেসরকারি স্ট্যাম্পফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড টেকনলজি বিষয়ের শেষ বর্ষের ছাত্র।

সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিক্ষার্থী আহসানুল ইসলাম দীপ্তর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা হয়। এ মামলায় সঞ্জয় অভিযুক্ত ছিল বলে জানায় পুলিশ।

গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা জানান, ঢাকা মেডিকেলে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে সঞ্জয় পাল জয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। এ বিষয়ে ঢাকার শাহবাগ থানায় একটি মামলা হয়েছে। তাঁকে ঢাকায় সোর্পদ করা হয়েছে।

গত শনিবার সকালে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস টেকনোলজির (বিইউবিটি) শিক্ষার্থী আহসানুল হক দীপ্ত। চিকিৎসকদের অবহেলায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে অভিযোগ করেন তাঁর স্বজন ও সহপাঠীরা। একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা নিউরোসার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসককে মারপিট করে।

এ ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দায়ীদের গ্রেপ্তার না করা হলে কর্মবিরতিতে যাওয়ার হুমকি দেন চিকিৎসকেরা। রোববার রাত ৮টা থেকে ওই কর্মসূচি ছিল। তবে শনিবারই আরেক ঘটনায় হাসপাতালে হামলা হলে দুই ঘটনা মিলিয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই কর্মবিরতিতে যান চিকিৎসকেরা। সারা দেশের সব হাসপাতালে কর্মবিরতির ঘোষণা দেন তাঁরা।

রোববার সকাল থেকে চিকিৎসকদের ওই কর্মবিরতি শুরু হলে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েন রোগীরা। এক পর্যায়ে রোববার রাতে ফের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা সেবা শুরু হয়। তবে বহির্বিভাগ ও রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষা বিভাগসহ অন্যান্য বিভাগে বন্ধ রয়েছে চিকিৎসাসেবা।

আরবি/ এইচএম

Link copied!