ঢাকা: সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও এ কে এম শহীদুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে শহীদুল হককে উত্তরা থেকে এবং আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গেছে, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর থেকেই সেনা হেফাজতে ছিলেন তিনি।
তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এডিসি (মিডিয়া) মো: ওবায়দুর রহমান রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, সাবেক আইজিপি শহীদুল হককে রাতে উত্তরা ১৬ নং সেক্টর থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি।
এছাড়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এর বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় সেনা হেফাজতে থাকা অবস্থায় আত্মসমর্পণের ইচ্ছা প্রকাশ করায় আজ রাতে পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়
জানা গেছে, সাবেক জিপি এ কে এম শহীদুল হক ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পুলিশের আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত এ পদে ছিলেন। আইজিপি পদে পদোন্নতি পাওয়ার আগে তিনি সচিব পদমর্যাদায় বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (প্রশাসন ও অপারেশন) হিসেবেও কর্মরত ছিলেন।
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে অবসরে যাওয়ার পর শহীদুল হক দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে শরীয়তপুর–১ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন। তবে মনোনয়ন পাননি।
শহীদুল হকের ছোট ভাই ইসমাইল হক জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নড়িয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, আইজিপির দায়িত্বে থাকার সময় শহীদুল হক ছোট ভাইয়ের নির্বাচনে প্রচারের জন্য পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব দিয়েছিলেন।
এদিকে, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পুলিশের আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পান। চাকরির স্বাভাবিক মেয়াদ অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ১১ জানুয়ারি তার অবসরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ১১ জুলাই পর্যন্ত তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয় সরকার। এরপর ৫ জুলাই শুক্রবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক শাখা চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে, এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তার নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনীর অনেক সদস্যদের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালানোর অভিযোগ রয়েছে। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। গত ৭ আগস্ট তাকে অবসরে পাঠানো হয়।
আপনার মতামত লিখুন :