ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহের কোনো সম্ভাবনা নেই: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

রুপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪, ০২:০৯ পিএম

ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহের কোনো সম্ভাবনা নেই: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন || ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের যুদ্ধ-বিগ্রহের কোনো সম্ভাবনা আছে বলে মনি করি না। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর রাজনাথ সিং এর ‘বাংলাদেশ পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের নির্দেশ’- বক্তব্যের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়াতে রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সাম্প্রতিক বক্তৃতায় যতটা না উদ্বিগ্ন, তার চেয়ে অবাক হয়েছি।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা দাবি করেন, এ ধরণের কথা তিনি কেন বললেন এটার কোনো কারণ আমি খুঁজে পাই না। আমি কোনো অবস্থাতেই মনে করি না যে, ভারতের সঙ্গে আমাদের যুদ্ধ-বিগ্রহের কোনো সম্ভাবনা আছে।

ভারতকে শান্তিপ্রিয় দেশ উল্লেখ করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং দেশটির সশস্ত্র বাহিনীকে ভবিষ্যৎ যুদ্ধ মোকাবিলার জন্য তৈরি থাকতে বলেছেন। গত বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের লক্ষ্ণৌতে সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডারদের প্রথম যৌথ সম্মেলনে তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও ইসরায়েল-হামাস সংঘাতের পাশাপাশি বাংলাদেশের পরিস্থিতির উল্লেখ করে এ কথা বলেন। তিনি জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাদের এসব ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণেরও পরামর্শ দেন।

তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘তিনি তার নিজের দেশের কনজাম্পশনের জন্য বলেছেন কিনা সেটা আমাদের বুঝতে হবে। আর উনি যেভাবে বলেছেন তা অনেকটা বিটিং এরাউন্ড দ্য বুশের মত। ইউক্রেনের যুদ্ধের জন্য তো ভারতের যুদ্ধ প্রস্তুতির কোনো কারণ দেখি না। আর হামাসের যে সমস্যা তাতে এখানে কি সম্পর্ক আর এর সাথে ইউক্রেন আর হামাসের সাথে বাংলাদেশ কীভাবে তুলনীয় তা আমার বোধগম্য নয়। আমরা দেখবো কেন উনি এ কথাটা বলেছেন’।

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য বাংলাদেশের জন্য হুমকি কী না জানতে চাইলে অন্তবর্তী সরকারের উপদেষ্টা বলেন, আমি এখনো মনে করি উনি সেটা অভ্যন্তরীণ কনজাম্পশনের জন্য বলেছেন। কাজেই এ বিষয়ে আমি কোনো অনুমান করতে চাই না। আমরা অবশ্যই দেখবো এটা কি হচ্ছে, কেন হচ্ছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতের রাজনৈতিক আশ্রয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্বাভাবিকভাবে যে কোনো দেশ যে কাউকেই রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে পারে। এক্ষেত্রে সেটা হচ্ছে কি না আমরা তা দেখবো।

আরবি/এফআই

Link copied!