ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা ক্যাম্প বাড়ানোর দাবি

ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪, ০৬:২২ পিএম

পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা ক্যাম্প বাড়ানোর দাবি

ঢাকা: পার্বত্য চট্টগ্রামের সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনীকে কার্যকর ভূমিকা রাখা এবং নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকা জায়গাগুলোতে সেনা ক্যাম্প বাড়ানো সহ ৪ দফা দাবিতে আন্দোলন করছে পার্বত্য অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর)  বিকেল চারটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে আয়োজিত সমাবেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি তুলে ধরেন।

পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ কর্তৃক নিরস্ত্র বাঙালি নাগরিক হত্যা, হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ তুলে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি ব্যানারে এই সমাবেশ আয়োজিত হয়।

এসময় আন্দোলনকারীরা ভিয়েতনাম চায় যারা বাংলাদেশের শত্রু তারা; সার বাংলায় খবর দে জম্মুল্যন্ডে কবর দে; মামুনভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই; আদিবাসী বলে যারা বাংলাদেশের শত্রু তারা; সার্বভৌমত্ব রাক্ষায় সেনাবাহিনীর বিকল্প নাই ইত্যাদি বলে স্লোগান দিতে থাকে।

সমাবেশে মিনহাজ মুর্শিদ তৌকি বলেন, পার্বত্য জেলায় মানুষ নিরাপদে নাই কিছু চিন্হিত উপজাতি সন্ত্রাসীর কারণে। গতকাল দুপুরে চুরির অপবাদ দিয়ে মামুন নামের একজন বাঙালিকে হত্যা করেছে তারা। আজকে তারা ডয়েচ বেলেতে দাবি তুলেছেন পার্বত্য অঞ্চলকে জম্মুল্যান্ড বানাতে। দাবি মেনে নিলে তারা নাকি শান্ত থাকবে। এরা ১৯৭৪ সাল থেকে এটা শুরু করেছে। তারা ৭১ এর স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি।

তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে যতগুলো প্রতিষ্ঠান আছে সবগুলোর প্রধান উপজাতি। উপাজাতিদের টেক্স দিতে হয় না। তারা সব জায়গা থেকে সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশকে ভাগ করার যে চক্রান্ত করছে সেটা বাঙালিররা কখনো হতে দিবে না।

আন্দোলনকারীদের ৪ দফা:
১। পাবর্ত্য চট্টগ্রামে অবস্থানরত স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
২। পার্বত্য চট্টগ্রামে সকল প্রকার অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।
৩। পার্বত্য চট্টগ্রামের নিরস্ত্র সাধারণ নাগরিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণে সেনাবাহিনীকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে এবং নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকা জায়গাগুলোতে সেনা ক্যাম্প বাড়াতে হবে।
৪। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির অসংবিধানিক ধারাগুলো বাতিল করতে হবে।

 

আরবি/এস

Link copied!