ঢাকা শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

নানা আয়োজনে বিশ্ব পর্যটন দিবস পালিত

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৪, ০৪:২০ পিএম

নানা আয়োজনে বিশ্ব পর্যটন দিবস পালিত

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব পর্যটন দিবস। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দিনটি পালন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে নানা কর্মসূচি।

জাতিসংঘ বিশ্ব পর্যটন সংস্থা নির্ধারিত এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘Tourism and Peace’ যার বাংলা করা হয়েছে ‘পর্যটন শান্তির সোপান’। পর্যটনের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ, সংস্কৃতি ও মানুষের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হয়। সৃষ্টি হয় সমঝোতা।

সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয়, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত সহিংসতার অবসান ঘটিয়ে একটি সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টিতে পর্যটনের ভূমিকা অপার। বিশ্বব্যাপী পর্যটনের প্রচার ও প্রসারে ১৯৬০ সাল থেকে জাতিসংঘের পর্যটন বিষয়ক সংস্থা ‘UN Tourism’ এর উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পর্যটন ভবনে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে এক র‌্যালি বের করা হয়। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, অধীন দফতর-সংস্থাগুলো, ট্যুরিস্ট পুলিশের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংগঠনের সদস্যরা প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন, রঙ-বেরঙয়ের বেলুন, ব্যান্ডপার্টি নিয়ে র‌্যালিতে অংশ নেন। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান র‌্যালির উদ্বোধন করেন।

র‌্যালি শেষে পর্যটন ভবনের ‘শৈল প্রপাত’ হলে বিশ্ব পর্যটন দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্যের ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।  সভার মুখ্য আলোচক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান বলেন, বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এ বিশাল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও আমরা এ খাতে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারিনি। এ শিল্পের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন সমন্বিত পরিকল্পনা। দেশীয় পর্যটন বিকাশের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে প্রচার-প্রচারণার ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। পাশাপাশি এ শিল্পের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সেবার মান বৃদ্ধির দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। সঠিক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে পর্যটন শিল্প অন্যতম ভূমিকা পালন করতে পারবে।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব নাসরীন জাহান বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দারিদ্র দূরীকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি তৈরিতে পর্যটন শিল্পের ভূমিকা বিশাল। এ ভূমিকাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে এশিয়ার অন্যতম পর্যটন গন্তব্যে পরিণত করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেনের চেয়ারম্যান একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভুইয়া, ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি মো. আবু কালাম সিদ্দিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শরিফুল আলম খন্দকার, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, বেসামিরক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফাতেমা রহীম ভীনা প্রমূখ।

আরবি/এফআই

Link copied!