শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান নিয়ে সম্প্রতি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর পরিষ্কারভাবেই জানিয়েছেন যে, শেখ হাসিনার জন্য ভারত শেষ গন্তব্য নয়। খুব কম সময়ের নোটিশে শেখ হাসিনা ‘সাময়িকভাবে’ ভারতে আসার অনুমতি চান। বর্তমানে জল্পনা উঠেছে শিঘ্রই তিনি ভারত ছাড়ছেন। ভারত ছেড়ে কোথায় যাবেন তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
মিস্টার কুগেলম্যান সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, নিরাপত্তা বাহিনী শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে যে প্রবল শক্তি প্রয়োগ করেছে এবং শেখ হাসিনা সরকারের যে দমন-পীড়ন ছিল সেটি নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর খুবই আপত্তি ছিল। ফলে পশ্চিমা দেশগুলোতে শেখ হাসনার গন্তব্য থাকার সম্ভাবনা নেই বল্লেই চলে।
কিন্তু ক্ষমাতাচ্যুত হওয়ার মাসেই রোববার (১১ আগস্ট) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য প্রিন্ট’।এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভারতে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করে শেখ হাসিনা তার দল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এক বার্তায় বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মতো বিদেশি শক্তি রয়েছে।
কিন্তু বিবিসি জানতে পেরেছিল যে, শেখ হাসিনার যুক্তরাজ্যে যাওয়ার প্রস্তাব প্রথমেই বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার পর ইউএই (সংযুক্ত আরব আমিরাত), সৌদি আরব ও ইউরোপের দু-একটি ছোটখাটো দেশের সঙ্গে ভারত এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছিল।
যদিও এসব আলোচনায় তেমন একটা অগ্রগতি হয়েছে বলে খবর নেই। এরপর মধ্যপ্রাচ্যের আর একটি প্রভাবশালী দেশ কাতারের সঙ্গেও ভারত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে কথাবার্তা শুরু করেছে বলে জানা যাচ্ছে।
এদিকে বাংলাদেশের একটি শীর্ষ গণমাধ্যম বরাত দিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কাছে জানতে চেয়েছে, শেখ হাসিনা কীভাবে, কোন ব্যবস্থায় দিল্লিতে অবস্থান করছেন? জবাবে ভারত নাকি বলেছে, খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের কোনো একটি দেশে তিনি চলে যাবেন। এমন খবর ঢাকার সরকারি একটি মহলকে জানানো হয়েছে।
ভারত ছেড়ে শেখ হাসিনা মধ্যপ্রাচ্যের কোন দেশে যাবেন তা অনিশ্চিত হলেও বিশ্বস্ত একাধিক সূত্র বলছে, শেখ হাসিনা ‘দুবাই’ তে অবস্থান করবেন। কেননা, পশ্চিমা ও মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশের সাথে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক সম্পর্ক সুনির্দিষ্ট ছিল না বিধায় তিনি দেশগুলোতে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইলে মুখ ফিরিয়ে নেন তারা। ফলে শেখ হাসিনার শেষ গন্তব্য দুবাইতেই হতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :