ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
জাহাজে ৫ রক্তাক্ত মরদেহ

হাসপাতালে আরও ২ জনের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ৭

চাঁদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪, ০৬:২৫ পিএম

হাসপাতালে আরও ২ জনের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ৭

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে থেমে থাকা পণ্যবাহী জাহাজ থেকে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া একই জাহাজ থেকে তিনজনকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে হাসপাতালে নেয়ার পর দু’জন মারা গেছেন।

এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭ জনে দাঁড়িয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।

তবে আহত একজনের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর কোস্টগার্ড‌ কমান্ডার লেফটেন্যান্ট ফজলুল হক। আহত ওই ব্যক্তির নাম, জুয়েল (২৮)। তাকে জরুরিভিত্তিতে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে। তার শ্বাসনালী কাটা অবস্থায় পাওয়া গেছে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে জাহাজ থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। চাঁদপুর সদর থানার মেঘনা নদীতে জাহাজটি নোঙর অবস্থায় ছিল। চট্টগ্রাম থেকে সার নিয়ে জাহাজটি সিরাজগঞ্জের পথে ছিল। জাহাজের সার খোয়া যায়নি। নৌযানটির মালিক মেসার্স এইচপি এন্টারপ্রাইজ।

নৌ পুলিশ জানায়, জাহাজটি চাঁদপুর সদর থানার মেঘনা নদীতে নোঙর করা অবস্থায় ছিল। সেটিতে সার পরিবহন করা হচ্ছিল। নিহত ব্যক্তিরা নৌযানটির চালক ও অন্যান্য কর্মী হতে পারেন।

চাঁদপুর কোস্ট গার্ড‌ কমান্ডার লেফটেন্যান্ট ফজলুল হক জানান, হাইমচর উপজেলায় মেঘনার ইশানবালা এলাকায় পণ্যবাহী জাহাজ এমভি আল-বাখেরা থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের শরীরে দেশি অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গলা ও মাথাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

এদিকে, জাহাজ থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে বিকেল ৪টার দিকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাদের মধ্যে দুইজনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নৌ পুলিশের চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ মুশফিকুর রহমান জানান, পণ্যবাহী জাহাজতে থাকা ব্যক্তিদের দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। তারা সন্দেহ করছেন, শত্রুতা বা চাঁদাবাজি থেকে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

আরবি/এইচএম

Link copied!