ঢাকা: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘পদত্যাগপত্র’ ইস্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের দাবিতে উত্তপ্ত পুরো দেশ । রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যদি পদত্যাগ করেন, সেক্ষেত্রে কে বসবেন ওই পদে? এ বিষয়ে জনমনে চলছে নানা গুঞ্জন। মঙ্গলবার রুদ্ধদ্বার বৈঠকে প্রধান বিচারপতিকে রাষ্ট্রপতি হওয়ার প্রস্তাব দেন, দুই উপদেষ্টা। তবে, বিনয়ের সঙ্গে তা ফিরিয়ে দেন, প্রধান বিচারপতি।
সম্প্রতি মানবজমিনের প্রকাশনা জনতার চোখের প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে -নেপথ্যের গল্পতে প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী জানান, রাষ্ট্রপতি তাকে জানিয়েছেন, তিনি শুনেছেন শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তার কাছে কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই। কথোপকথনটি একটি রাজনৈতিক ম্যাগাজিন ‘জনতার চোখ’—এ প্রকাশিত হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হলে গত সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল দাবি করেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন মিথ্যাচার করেছেন।
এ নিয়ে মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ও তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
প্রধান বিচারপতির সঙ্গে উপদেষ্টাদের আলোচনার বিষয়ে সূত্র জানায়, বৈঠকে রাষ্ট্রপতির পদ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদকে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি এবং আপিল বিভাগের বর্তমান জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামকে বাংলাদেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি করার বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।তবে সৈয়দ রেফাত আহমেদ রাষ্ট্রপতি হওয়ার প্রস্তাবে সায় দেননি। যদিও সরকার বা অন্য কোনো পক্ষের তরফে এর সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে বুধবার তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, রাষ্ট্রপতি তার পদে থাকবেন কি থাকবেন না এটি সাংবিধানিক প্রশ্ন নয় রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নাহিদ বলেন, জনগণের চাওয়া বুঝতে পেরেছে সরকার। সবাইকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে। তাই যৌক্তিক সিদ্ধান্ত আসতে সময় লাগছে। বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ না করারও পরামর্শ দেন তিনি।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে বিএনপির দুই নেতা দুই রকম বক্তব্য দিয়েছেন। বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘রাষ্ট্রপতিকে বিদায় না করলে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না’। তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চায় না বিএনপি’। রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে বিএনপির দুই নেতার দুই রকম বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
আপনার মতামত লিখুন :