ঢাকা শুক্রবার, ০১ নভেম্বর, ২০২৪
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায়

জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়, গ্রেপ্তার ১

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২৪, ০৭:৪৭ পিএম

জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়, গ্রেপ্তার ১

ছবি, সংগৃহীত

ঢাকা: কৃষি ভিসায় ইটালি পাঠানোর কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে জিম্মি করে পরিবারের কাছে থেকে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় কল্পনা বেগম নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ভোররাতে কামরাঙ্গীরচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে হাতিরঝিল থানা পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, কল্পনা মানব পাচার চক্রের সদস্য।

হাতিরঝিল থানা সূত্রে জানা যায়, মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম বেপারী গত ২ অক্টোবর  হাতিরঝিল থানায় মানব পাচার আইনে একটি মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে কল্পনা বেগম ও তার সহযোগীরা কৃষি ভিসায় ইটালি পাঠানোর কথা বলে নুরুল ইসলামকে প্রলুব্ধ করে। তাদের প্রলোভনে ইটালি যাওয়ার জন্য সম্মত হয়ে নুরুল তাদেরকে পাসপোর্ট দেন। এর কয়েকদিন পর চক্রের সদস্যরা তাকে জানায় যে তার ভিসা হয়েছে। তাদের কথা মতো গত ২০ জুলাই বাদী নুরুল তাদেরকে ১০ লাখ টাকা প্রদান করে। টাকা পাওয়ার পর মানব পাচার চক্রের সদস্যরা ভুক্তভোগী নুরুল ইসলামকে প্রথমে দুবাই ও পরে লিবিয়া নিয়ে যায়।

সেখানে মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য জামির ও ইসমাইল ভিকটিমকে ইটালি না পাঠিয়ে জিম্মি করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। তারা ভিকটিমের স্ত্রীকে ফোন করে জানায় যে, বাংলাদেশে ফিরে যেতে চাইলে কিংবা ইটালি যেতে চাইলে দেশে থাকা তাদের সদস্য আব্দুল লতিফের কাছে আরও ১৫ লাখ টাকা দিতে হবে। বাধ্য হয়ে ভিকটিমের স্ত্রী জমি বিক্রি করে ১৫ লাখ টাকা দেশে থাকা পাচারকারী চক্রের সদস্যদের বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্টে ও বিকাশের মাধ্যমে প্রদান করে। টাকা পাওয়ার পরও তারা ভিকটিমকে দেশে বা ইটালি পাঠায়নি। পরবর্তীতে চলতি বছরের ১১ জুন লিবিয়া পুলিশের সহায়তায় ছাড়া পেয়ে ভিকটিম দেশে ফিরে আসে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, তদন্তাধীন মামলায় গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় এজাহারনামীয় আসামী কল্পনা বেগমকে কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও মানব পাচারের সাথে জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আরবি/এস

Link copied!