বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) নিয়ন্ত্রণাধীন সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড স্টোর ইউনিটের (সেমসু) নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিমের বিদেশ সফর নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জানা গেছে, সরকারি খরচে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় তিনি ইমপ্লাইড ইম্প্রেশন নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ওপর ভর করে ৯ দিনের সফরে ইতালি গেছেন। সঙ্গে গেছেন সহকারী প্রকৌশলী (ইএম-১) মেহেদী আল মিজান।
বিমানবন্দর রানওয়ের বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ (সুইপা) কেনাকাটার অজুহাত সামনে রেখে এই রাজসিক সফরের আয়োজন বলে অভিযোগ ওঠে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইমপ্লাইডের কর্ণধার মুর্তজা নিজ খরচে তাদের ইতালি যাওয়ার পথ সুগম করেছেন বলে বেবিচকে গুঞ্জন রয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সেমসুর এই নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম পতিত আওয়ামী সরকারের ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর আপন ভাগ্নে। তিনি নিজেও আওয়ামী ঘরানার।
আলোচিত এই সফরে সেমসুর আর কোনো কর্মকর্তাকে নেওয়া হয়নি। কেনাকাটার সঙ্গে সম্পৃক্ত দুই উপপরিচালকও এই যাত্রায় শরিক হননি।
এদিকে সেমসুতে কোটি কোটি টাকার ট্রলি ও বিমানের জেট ফুয়েল কেনাকাটায় ব্যাপক দুর্নীতির তদন্ত ধামাচাপা পড়ে গেছে বলে জানা যায়।
এসব দুর্নীতির তদন্ত ধামাচাপা দিয়ে আওয়ামী দোসর নির্বাহী পরিচাল রেজাউলকে বেবিচক থেকে বদলি না করে উল্টো তাকে ফেটে পাঠানো হলো রানওয়ের বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ (সুইপা) কেনাকাটার জন্য। এই কেনাকাটায়ও দুর্নীতির কথা হাওয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে। শোনা যায়, কদিন আগেই ফেটে সফর করে এসেছেন আরেক আওয়ামী-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সদস্য (অর্থ)। এবার যাচ্ছেন মেম্বার অপস।
সরকারি খরচে ফেট সফরে সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও বেবিচকের এই সফর বন্ধ হয়নি। এতে সরকারের কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সেমসুর কেনাকাটার দায়িত্বে নিয়োজিত উপপরিচালক মো. করিম মোল্লা জানান, ফেটে বিদেশে যারা যাবেন, তাদের নামের তালিকা করা হয় বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয় থেকে। একজন যুগ্ম সচিব (সিএ) এই তালিকা চূড়ান্ত করেন। তিনি আরও জানান, টিমে আমাকে রাখা হয়নি। আবার হয়তো কোনো টিমে আমাকে ফেটে নিয়ে যাওয়া হবে।
ওদিকে রূপালী বাংলাদেশে সংবাদ প্রকাশের পর সদস্য (প্রশাসন) আবু সালেহ মো. মহিউদ্দীন খাঁকে বেবিচক থেকে বদলির প্রক্রিয়া চলছে বলে শোনা যায়। সম্ভাব্য বদলি ঠেকাতে তিনি গত দুই দিন ধরে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে দৌড়ঝাঁপ করছেন বলে কর্মচারীরা বলাবলি করছেন।
আপনার মতামত লিখুন :