স্বল্প আয়ের নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য সহনশীল মূল্যে ফ্ল্যাট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। মাসিক ভাড়ার ভিত্তিতে ফ্ল্যাটের মূল্য পরিশোধ হবে। তবে আবেদনেপত্রের সঙ্গে নিতান্তই কম অঙ্কের জামানত পে-অর্ডার আকারে জমা দিতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে ৪০০-৬০০ বর্গফুট আয়তনের দেড় হাজার ফ্ল্যাট দেওয়ার চিন্তা রয়েছে তাদের।
রাজউকের প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আপাতত পূর্বাচলে ৯ একর এবং উত্তরায় সাড়ে ৮ একর জমির ওপর এসব ফ্ল্যাট নির্মিত হবে। নতুন এই প্রকল্পের জন্য এরই মধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠানকে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগপ্রাপ্ত দুই পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ডিডিসিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উত্তরার এবং ডেটেক্সকে পূর্বাচলের। গত ১৯ ডিসেম্বর উত্তরা আবাসিক প্রকল্পের ফ্ল্যাটের আইডি প্রদান অনুষ্ঠানে রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ছিদ্দিকুর রহমান সরকার নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য স্বল্প খরচে ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট বরাদ্দের ঘোষণা দেওয়ার পরপরই প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হয়। দ্রুততার সঙ্গে নিয়োগ দেওয়া হয় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। তারা এখন ড্রয়িং ও ডিজাইন তৈরিতে ব্যস্ত। এরপর আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে প্রকল্প পরিকল্পনার বিস্তারিত (ডিপিডি) যাবে গৃহায়ণ ও পূর্ত মন্ত্রণালয়ে।
সূত্রের তথ্যমতে, মন্ত্রণালয় সম্মত হলে আরও অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের পর এটি যাবে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে (একনেক)। একনেকে অনুমোদিত হলে বাজেট প্রণয়নের পর প্রস্তাবিত প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে রাজউকের বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (ড্যাপ) পরিচালক ও প্রধান নগর স্থপতি আশরাফুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি এসব ফ্ল্যাটের নির্মাণকাজ শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘ড্রাইভার, কাজের বুয়াসহ একেবারে ছা-পোষা মানুষ অগ্রাধিকার পাবেন। আমরা চাই মানবেতর জীবনযাপন থেকে তারা একটু স্বচ্ছন্দে থাকুন।’
আশরাফুল ইসলাম জানান, মাসিক ভাড়ায় দীর্ঘমেয়াদি কিস্তিতে এসব ফ্ল্যাট নেওয়ার সুবিধা থাকবে। এমনকি বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যক্তি মারা গেলেও তার নমিনি এই ফ্ল্যাটের মালিকানা পাবেন।