বিগত ৩টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেসব অনিয়ম হয়েছে, তা চিহ্নিত করবে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। আইনে নির্বাচনী অপরাধের যেসব ধারা আছে, সেগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে ইসি সচিবালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় সংস্কার কমিশনের প্রধান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশসহ নির্বাচনের যত আইন ও বিধিবিধান রয়েছে, সবগুলোই পর্যালোচনা করা হচ্ছে। বিগত নির্বাচনগুলোতে যে আইনের ব্যত্যয় ও অনিয়ম হয়েছে সেগুলোও পর্যালোচনা করবে সংস্কার কমিশন। পর্যালোচনা শেষে দেওয়া হবে সুপারিশ। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি নিয়োগের বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে আইনগুলো পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার তীব্র গণ আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সরকারের পতনের পর প্রশাসনে থাকা আওয়ামী লীগের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এ সময় বর্তমান নির্বাচন কমিশন বিলোপ করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনেরও দাবি ওঠে। দাবির প্রেক্ষিতে গত ৫ সেপ্টেম্বর চার কমিশনারসহ পদত্যাগ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের এক মাস পূর্তি উপলক্ষ্যে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচন কমিশন, সংবিধানসহ রাষ্ট্রের অন্যান্য ক্ষেত্রে সংস্কার আনতে ৬টি কমিশন গঠন করার কথা জানান। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পান ড. বদিউল আলম মজুমদার।
আপনার মতামত লিখুন :