ঢাকা বুধবার, ০৮ জানুয়ারি, ২০২৫

দুদক কার্যালয়ে এসে গ্রেপ্তার ৩ ভুয়া দুদক কর্মকর্তা

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২৫, ০৭:২০ পিএম

দুদক কার্যালয়ে এসে গ্রেপ্তার ৩ ভুয়া দুদক কর্মকর্তা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

‘দুর্নীতি নিবারণ সহায়ক সংস্থা’ নামে একটি প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা সরকারি কর্মচারীর ছদ্মবেশে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তা পরিচয়ে অভিযান পরিচালনা, জরিমানা ধার্য ও আদায়, চাঁদাবাজি করতেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আজ সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে সেগুনবাগিচা দুদক কার্যালয় থেকেই তাঁদের আটকের পর গ্রেপ্তার দেখানো হয়। দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দুদক মহাপরিচালক বলেন, ভুয়া পরিচয়দানকারী দুদক কর্মকর্তাদের আটকের পর তাঁদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে নেন প্রতারক চক্রের দুই সদস্য। পরে তাঁদের স্বীকারোক্তি রেকর্ড করে অজ্ঞাতনামা আট আসামিসহ ১৪ জনের নামে পল্টন থানায় একটি প্রতারণার মামলা করা হয়। দুদকের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- কথিত দুর্নীতি নিবারণ সহায়ক সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম সম্রাট, সংস্থার পরিচালক (অপারেশন) মো. রায়হান ওরফে সৈয়দ রায়হান, নেত্রকোনার সাইফুল ইসলাম।

মামলার অন্য অভিযুক্তরা হলেন পটুয়াখালীর সোলাইমান মুফতি, সিয়াম মাহমুদ মোবারক, হবিগঞ্জের রনি আহমেদ পায়েল। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও আটজনকে আসামি করা হয়েছে।

দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, পরস্পর যোগসাজশে সরকারি কর্মচারীর ছদ্মবেশ ধরে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে—এমন ব্যক্তিদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরসহ দুই শতাধিক বেসরকারি স্থানে অভিযান পরিচালনা করেন অভিযুক্তরা। জরিমানা ধার্য ও আদায়, চাঁদাবাজি, জোরপূর্বক মীমাংসার নামে অনৈতিক সুবিধা নেওয়া এবং ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা, বিকৃত ও মানহানিকর তথ্য প্রকাশ ও প্রচার করে দুদক ও সাইবার নিরাপত্তা আইনে তাঁরা শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

আরবি/এইচএম

Link copied!