এস আলম গ্রুপের কালো টাকা অবৈধভাবে সাদা করে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন এক অতিরিক্ত কমিশনারসহ তিন আয়কর কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে জারিকৃত আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন- চট্টগ্রাম কর আপিল অঞ্চলের অতিরিক্ত কর কমিশনার সাইফুল আলম, ঢাকা কর অঞ্চল-১৪ এর যুগ্ম কর কমিশনার এ কে এম শামসুজ্জামান এবং চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-২ এর সহকারী কর কমিশনার আমিনুল ইসলাম।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, চট্রগ্রামের কর অঞ্চল-১ এর করদাতা এস আলম গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটিকে সুবিধা দিতে একাট্টা ছিলেন আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা। আইন উপেক্ষা করে সুবিধা দিয়েছেন এস আলম গ্রুপকে। প্রতিষ্ঠানটির অবৈধ সুবিধার বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে নড়েচড়ে বসে এনবিআর। এরই ধারাবাহিকতায় তদন্ত কমিটি গঠন করে এনবিআর। এই তদন্তে উঠে আসে কর কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি। তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এর আগে বায়োফার্মাকে সুবিধা দেওয়া কর্মকর্তার বিষয়ে বিভাগীয় মামলা শুরু হলেও স্বপদে বহাল রয়েছেন।
এদিকে গত ২৯ সেপ্টেম্বর এস আলম গ্রুপ, এই কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার পরিচালক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সব স্থাবর সম্পদের তালিকা দাখিল করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আইন সচিব ও নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শককে চার সপ্তাহের মধ্যে এই তালিকা দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
রুলে এস আলম গ্রুপ, এই কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার পরিচালক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নামে মোট কী পরিমাণে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে এবং পাচারকৃত অর্থ ফেরাতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানাতে বলা হয়। একই সঙ্গে এস আলম গ্রুপ, এই কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার পরিচালক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের শেয়ার বিক্রি ও হস্তান্তরের ওপর নিষেধাজ্ঞার আদেশ কেন দেওয়া হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়। চার সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক, আর্থীক গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ফাইন্যান্সশিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এবং বাংলাদেশ সিকিউর্রিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)কে এসব রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :