সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। তারা বলেছে, রাজনৈতিক দলগুলোর হুমকিধমকিতে সংস্কার প্রক্রিয়া থামিয়ে রাখা যাবে না। যারা এখন ক্ষমতায় আসার জন্য তাড়াহুড়া করছে, নির্বাচনের পর তারা সংস্কারের কাজ চালিয়ে যাবে—এটা বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। সুতরাং, আগে সংস্কার হবে, তারপর নির্বাচন হবে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘শহীদ আসাদ থেকে শহীদ আবু সাঈদ : গণ-অভ্যুত্থান থেকে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপের রাজনীতির রোডম্যাপ’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় নাগরিক কমিটি। শহীদ আসাদ দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচনের পক্ষে নয় জানিয়ে সভায় জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘আমরা সরকারকে বলব, শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলের হুমকিধমকিতে সংস্কারের পরিবেশ তৈরি না করে, সংস্কারের বাস্তব রূপ না দিয়ে চলে যাবেন না। যদি এমন হয় তবে বাংলাদেশে ছাত্র-জনতা নতুন কাউকে এনে সংস্কারের পরিবেশ তৈরি করবে এবং বাস্তবে রূপ দেবে। তবে সেই বাস্তব রূপায়ণ এই সরকারকেই করতে হবে।’
এছাড়া বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নেবে, এমন ধারণায় সন্দেহ প্রকাশ করেন জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার।
আলোচনা সভার সঞ্চালনা করেন, জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য আলাউদ্দীন মোহাম্মদ। সভায় বক্তব্য দেন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক আতিক মুজাহিদ, সংগঠক মশিউর রহমান, ফয়সাল মাহমুদ ও প্রীতম দাশ, নির্বাহী সদস্য ইমন সৈয়দ, হাসান আলী, জয়নাল আবেদীন এবং সহমুখপাত্র সালেহ উদ্দিন।
সভার অন্য বক্তারা, বিশেষ করে নির্বাহী সদস্য হাসান আলী বলেন, সংস্কার ও বিচার ছাড়া বর্তমানে অন্য কোনো আলোচনায় যাওয়ার প্রয়োজন নেই এবং এই বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলের একমত হওয়া উচিত।
আপনার মতামত লিখুন :