জুলাই অভ্যুত্থানে যারা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে, তাদের ভোটার তথ্য হালনাগাদ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেখানে বায়োমেট্রিকের পাশাপাশি জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের সুযোগও তারা পাচ্ছেন। দেড় সপ্তাহের মধ্যে হস্তান্তর করা হবে পরিচয়পত্র।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (বিএসএমএমইউ) কেবিন ব্লকে জুলাই বিপ্লবে আহতদের ভোটার হালনাগাদ করতে যায় বিশেষ দল।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের এক টেবিলে বসে ভোটার আবেদনকারীর তথ্য, ছবি তোলা, আঙ্গুলের ছাপ এবং চোখের আইরিশ দিয়ে ভোটার হওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছেন আহতরা। একইসঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনেরও সুযোগ পাচ্ছেন। আহতদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যরাও পাচ্ছেন বিশেষ এ সুবিধা।
হাসপাতালে আহত এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের বাসায় গিয়ে ভোটার তথ্য হালনাগাদ করতে হলে ঝামেলা পোহাতে হতো। আমরা তো আহত রোগী, হাঁটাচলা নিষিদ্ধ। যে পদ্ধতিতে তথ্য হালনাগাদ করতে হচ্ছে, এতে আমাদের উপকার হচ্ছে। এজন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানায়।
নির্বাচন কমিশনের সহকারী প্রোগ্রামার মো. সাহাবুদ্দীন বলেন, আমরা হাসপাতালে যেসব সেবাগুলো দিচ্ছি- যাদের নতুন এনআইডি কার্ড দরকার বা কার্ড সংশোধন করতে হবে, কার্ড হারিয়ে গিয়েছে অথবা এই জাতীয় কোনো সমস্যা থাকলে আমরা তার সেবা দিচ্ছি।
আহতদের মধ্যে যাদের হাত ও চোখ ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের কার্ড দেয়া হচ্ছে কমিশনের অনুমতিতে জানিয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবির বলেন, স্বাভাবিকভাবে যাদের হাত থাকে না। তাদেরকেও আমরা ভোটার তালিকায় রাখি। তাদেরকেও এনআইডি দেয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, আন্দোলনে যাদের (আহতদের) এমন সীমাবদ্ধতা হয়ে গেছে। আমরা কমিশনের অনুমতি নিয়ে তাদেরকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করবো এবং এনআইডি দিবো। এ ছাড়াও সারাদেশে যত জায়গায় রোগী আছে, আমরা সেখানে পৌঁছানোর চেষ্টা করবো।
প্রসঙ্গত, শুধু ঢাকার হাসপাতালগুলোয় নয়, পর্যায়ক্রমে এ সেবা দেয়া হবে সারাদেশে জুলাই অভ্যুত্থানে চিকিৎসাধীন আহতদেরকেও।
আপনার মতামত লিখুন :