প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাংবিধানিক দায়িত্বের পরিপন্থী। রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকালে নির্বাচন কমিশন ভবনে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি আয়োজিত আরএফইডি টক-এ তিনি বলেন, সীমানা পুনর্নির্ধারণ এবং ভোটার তালিকা সংক্রান্ত সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব অযৌক্তিক।
এছাড়া, সংস্কারের জন্য অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজন হলে সেটি নির্বাচন কমিশনের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘আগামী বছরের জুনে বর্ষাকাল হবে, তাই ওই সময়ে নির্বাচন আয়োজন করা কঠিন।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, ‘আমার যে ভোটার রেজিস্ট্রেশন বা ডিলিমিটেশন অন্যের কাছে দেয়া এইটা আমার নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক ম্যান্ডেটের স্পিরিটের বিরুদ্ধে’
এ এম এম নাসির উদ্দীন আরও বলেন, ‘একটি সুন্দর নির্বাচন আমরা করতে পারব যদি আমরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারি। তবে, পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটির অধীনে কাজ করলে আমাদের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হবে, যা আমাদের পক্ষে গ্রহণযোগ্য নয়। মে-জুন মাস বর্ষাকাল থাকে এবং অতীতে এই সময়ে নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। নির্বাচনের দেড় থেকে দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা করতে হবে, আর ডিসেম্বরে নির্বাচন করতে হলে আমাদের অক্টোবর নাগাদ পূর্ণ প্রস্তুতি নিতে হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :