সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে বাংলাদেশের কসাই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আসাদুজ্জামান খান বুচার (কসাই) অব বাংলাদেশ।
তার নির্দেশে ছোট ছোটে ছেলেমেয়ে, তরুণ ছাত্র, শ্রমিক, রিকশাওয়ালাদের হত্যা করা হয়েছে। তাই সোজা কথায় তিনি বুচার (কসাই) অব বাংলাদেশ। পৃথিবীর কোনো দেশের গণমাধ্যম এমন লোকদের স্পেস দেয় না। আমাদের কিছু মিডিয়া তার বক্তব্য নিয়ে নিউজ করছে। তাহলে তাদের অবস্থা বোঝেন।’
রোববার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ, অপূর্ব জাহাঙ্গীরও উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দাভোস সফর ঐতিহাসকি ছিল বলে এ সময় মন্তব্য করেন প্রেস সচিব। তিনি বলেন, দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সভা প্রধান উপদেষ্টার অংশগ্রহণ বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এটা ঐতিহাসিক সফর ছিল। সভায় কমপক্ষে ৪৭টি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
সংবাদ সম্মেলনে পোশাক শিল্প নিয়ে শফিকুল আলম বলেন, গার্মেন্টসের এক্সপোর্ট কি কমেছে? আজকেও একটা পত্রিকায় দেখলাম যে ৫১টি ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়েছে। ফ্যাক্টরি বন্ধ হবে, খুলবে, একটা ন্যাচারাল প্রসেস।
সরকার দেখে যে বাংলাদেশের এক্সপোর্ট বাড়ছে কি না। বাংলাদেশের এক্সপোর্ট সেপ্টেম্বরে বেড়েছে ৭ শতাংশ, অক্টোবরে ১৬-১৮ শতাংশ, নভেম্বরে প্রায় ২২ শতাংশ। ডিসেম্বরে ১৮ শতাংশের মতো। আমাদের গ্রোথ এরকম।
তিনি বলেন, যেসব ফ্যাক্টরির মালিক পালিয়ে গেছে, তাদের পুরো বার্ডেনটা আমাদের ওপর দিয়ে গেছেন। ব্যাংকগুলো থেকে চুরি করে যা যা ছিল সব নিয়ে পালিয়ে গেছে। শ্রমিকদের বেতন না দিয়ে তারা মজা দেখছেন। এক্সপোর্ট বাড়া মানে জব তৈরি হওয়া। ওভার অল এক্সপোর্ট আমাদের বাড়ছে। আমরা এক্সপোর্টের ফিগারের ব্যাপারে কোনো ম্যানিপুলেটিং করছি না। শেখ হাসিনার আমলে ম্যানিপুলেশন হয়েছে।
প্রেস সচিব বলেন, পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনা খুবই স্লো প্রসেস। এটার জন্য যত দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার সরকার সেই পদক্ষেপই নিয়েছে। সেন্ট্রাল ব্যাংক থেকে টাস্কফোর্স, অ্যাসেট রিকভারি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। ১১টা টিম কাজ করছি। সারা বিশ্বের টপ টপ এজেন্সির সঙ্গে কথা বলছি। পাচার করা টাকা ফেরত আনা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
শফিকুল আলম বলেন, যে টাকা পাচার হয়েছে সেটা বাংলাদেশের খেটে খাওয়া মানুষের টাকা। তাদের টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে শেখ হাসিনার চোরতন্ত্রের লোকজন। সে টাকাটা আমরা যেভাবে হোক ফিরিয়ে আনব।
সেটার জন্য আমরা গ্লোবালি একটা সমর্থক চাচ্ছিলাম। সেটাতে সবাই অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়েছে। এটা আমাদের টপ প্রায়োরিটি। প্রফেসর ইউনূস যখনই বিশ্বের টপ লিডারদের সঙ্গে কথা বলছেন, তখন তিনি এ বিষয়টা তুলছেন।
আপনার মতামত লিখুন :