অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, বর্তমান পুলিশের শতকরা ৮০ জনই আওয়ামী লীগের সমর্থক, এবং তাদের হৃদয়ে রয়েছে ছাত্রলীগের প্রভাব। এই সদস্যরা বর্তমানে সরকারের পক্ষে কাজ করছে না।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ নিয়ে চারটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকালে তিনি দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এ মন্তব্য করেন।
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, বিপ্লবের পর সাধারণত কিছু সমস্যা দেখা দেয় এবং সরকার সেগুলো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, গণঅভ্যুত্থানে যে ঐক্য ছিল, সেটি ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
এর আগে, এদিন সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে আইন উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের বিএনপির সঙ্গে কোনো দূরত্ব বা ভুল বোঝাবুঝি কাম্য নয়। তিনি বলেন, এটি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও তাদের সহযোগীদের আরও উৎসাহিত করতে পারে এবং গত কয়েক দিনেই আমরা এর কিছুটা প্রমাণ পেয়েছি।
আইন উপদেষ্টা বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে বিএনপি কোনো ষড়যন্ত্রে জড়িত নয় এবং তারা ১/১১ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করতে চাচ্ছে না। এছাড়া ছাত্রনেতারা সরকারের অংশ হিসেবে কোনো নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করতে যাচ্ছে না বা এতে যোগ দিচ্ছে না, জুলাই ঘোষণাপত্র একটি রাজনৈতিক দলিল হবে এবং ছাত্রনেতারা গণঅভ্যুত্থানের শক্তির মতামত সঠিকভাবে প্রতিফলিত করার জন্য চেষ্টা করছেন। বিএনপি ও ছাত্রনেতারা এমনকি নির্বাচন কেন্দ্রিক বৃহত্তর সমঝোতার ব্যাপারে আগ্রহী, তবে সেটি আলোচনা সাপেক্ষে। এর অর্থ হলো, বিরোধের কোনো কারণ নেই, বরং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
আসিফ নজরুল আরও বলেন, গণহত্যায় জড়িতরা বিপুল পরিমাণ লুটপাট করা টাকা, সুবিধাবাদী গোষ্ঠী, শক্তিশালী প্রচারণা নেটওয়ার্ক এবং আন্তর্জাতিক সমর্থন পেয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কিছু করতে হলে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ছাত্রদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ভিন্নমত থাকতে পারে, তবে তা যেন দেশের শত্রুদের জন্য উৎসাহের কারণ না হয়।
আপনার মতামত লিখুন :