এশিয়া মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম দত্তনগর কৃষি ফার্মের চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা অংশের পাথিলা বীজ উৎপাদন কৃষি ফার্মের কর্মকর্তাদের অব্যবস্থাপনা আর অনিয়ম ও নিন্মমানের কীটনাশক ব্যবহারের ফলে উঠতি ফসল গমের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে ফলন বিপর্যয়ের সম্ভবনা রয়েছে।
জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নের পাথিলা কৃষি ফার্ম কর্তৃপক্ষ প্রতি বছরের মত চলতি বছরও বীজ উৎপাদনের জন্য গমের আবাদ করেন। জমিতে গমের চারা দর্শনীয় হলেও ফার্ম কর্তৃপক্ষ নিন্মমানের কীটনাশক ব্যবহারের ফলে গমের চারা ঝলছে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে এলাকার একাধিক কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, পাথিলা ফার্মের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা লাভবান হওয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের সাথে যোগসাজস করে জমিতে নিন্মমানের কীটনাশক ব্যবহারের ফলে গমের চারা গাছ ঝলছে গিয়ে ব্যাপক ভাবে ক্ষতি হয়েছে।
পাথিলা বীজ উৎপাদন ফার্ম এলাকার সচেতন কৃষকদের দাবি বীজ বপনের পর গমের খুব সুন্দর চারা বের হয়। কিন্তু চারায় নিন্মমানের কীটনাশক ব্যবহারের ফলে চারা ঝলছে গিয়ে গমের আবাদের ক্ষতি হয়েছে। ফার্মের কর্মকর্তাদের অব্যবস্থাপনা ও দূর্ণীতি এর জন্য দায়ী। এ কারণে সরকারের মোটা অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে।
পাথিলা গ্রামের ইদ্রিস আলী অভিযোগ করে বলেন, ফার্মের প্রতিটি মৌসুমে সঠিক তদারকি করা হয় না। সঠিক ভাবে তদারকি করা হলে সমস্ত অনিয়ম-দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনার সব চিত্র বেরিয়ে আসবে।
এব্যাপারে পাথিলা কৃষি ফার্মের উপ-পরিচালক মোঃ কামাল হোসেন মোল্যা দৈনিক রুপালী বাংলাদেশকে, কীটনাশকের কারণে গমের চারা গাছ ঝলছে যাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন,অদক্ষ শ্রমিকের কারণে এমনটি হতে পারে। একই স্থানে একাধিকবার কীটনাশক স্প্রে করার জন্য এমন ঘটনা ঘটতে পারে। তবে বর্তমানে ক্ষেতের অবস্থা আগের তুলনায় ভালো।
আপনার মতামত লিখুন :