অসাধু সিন্ডিকেটে জড়িত থাকাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) উপ-পরিচালক পদমর্যাদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স (ইএন্ডও) বিভাগের মাহদী আহমদ এবং প্রশাসন বিভাগের আমজাদ হোসেন নিপু। এই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করেছে বিটিআরসি।
মামলা তদন্তে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে কমিশন। কমিশনকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চেয়ারম্যান বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর উপ-পরিচালক মাহদী এবং আমজাদকে বরখাস্তের দাবি জানায় কমিশনের শতাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী। তাদের অভিযোগ কমিশনে সিন্ডিকেট করাসহ নানান অনিয়মের সাথে জড়িত ছিলেন মাহদী এবং আমজাদ। সে সময় বিটিআরসির তৎকালীন চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদের একান্ত সচিবও ছিলেন আজদান হোসেন।
এই সুযোগে বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে আমজাদ নানান অনিয়ম করেছেন বলেও অভিযোগ ছিল। সাধারণ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দাবির মুখে সেসময় মাহদী এবং আমজাদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ খতিয়ে দেখা শুরু করে কমিশন।
জানা যায়, তাদের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে ওই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তে গত ২৩ জানুয়ারি পৃথক দুটি কমিটি গঠন করেছে বিটিআরসির প্রশাসন বিভাগ।
মাহদী আহমদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বিভাগীয় মামলার তদন্ত কমিটিতে ইঅ্যান্ডও বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শফিউল আলম পারভেজকে আহ্বায়ক, আইন বিভাগের পরিচালক তারেক হাসান সিদ্দিকীকে সদস্য এবং লাইসেন্সিং বিভাগের উপ-পরিচালক নাহিদুল হাসানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
আমজাদ হোসেনের মামলার তদন্ত কমিটিতে স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিনুল হককে আহবায়ক, লাইসেন্সিং বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল সৈয়দ মো. তৌফিকুল ইসলামকে সদস্য এবং স্পেকট্রাম বিভাগের উপ-পরিচালক মেহফুজ বিন খালেদকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :