দেশে গত এক সপ্তাহে ১৭ লাখ ৭ হাজার ৫৭০ জন নতুন ভোটারের হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। সারাদেশে তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। ভোটার তালিকা হালনাগাদের এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে গত ২০ জানুয়ারি, যা চলবে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
জাতীয় পরিচয়ত্রপত্র (এনআইডি) নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর এসব তথ্য জানিয়েছেন। বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি আরও বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রের অনিয়ম নিয়ে কঠোর অবস্থানে নির্বাচন কমিশন। অনিয়ম করলে কোনো কর্মকর্তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। মানুষের ভোগান্তি কমাতে কাজ করছে কমিশন। এনআইডি সংশোধনে আরও সচেষ্ট হয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
ইসির তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে জন্ম নেওয়া নাগরিক কোনো কারণে বাদ পড়লে নির্ভুল তথ্য ও কাগজপত্র দিয়ে ভোটার হতে হবে। তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হলে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ছবি তুলে নিবন্ধন সম্পন্নের কাজ শুরু হবে, যা চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ দু’জন বরখাস্ত
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে টাকা নিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে ভোটার করার অভিযোগে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও ডেটা এন্ট্রি অপারেটরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান মহাপরিচালক।
গ্রেপ্তার দু’জন হলেন– উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান ও নির্বাচন অফিসের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর জুবায়ের।
ইসি মহাপরিচালক বলেন, শুধু জগন্নাথপুর উপজেলায় স্থানীয়দের বায়োমেট্রিক তথ্য ব্যবহার করে ১০৬ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে অবৈধভাবে ভোটার করার চেষ্টা হয়েছে। জনপ্রতি লাখ টাকার ওপরে অবৈধভাবে লেনদেন হয়েছে। তারা বাংলাদেশি নাগরিক হলেও প্রবাসে থাকেন।
তাদের অনেকের ভুয়া বায়োমেট্রিক ও আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়েছে। ঢাকা থেকে এনআইডি উইংয়ের একটি তদন্ত দল জগন্নাথপুরে গিয়ে সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ প্রমাণ পেয়েছে। বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন- প্রেস ব্রিফিংয়ে এনআইডি অনুবিভাগের কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসনানুজ্জামান, তকদিন আহমেদ, জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম ও সহকারী পরিচালক আশাদুল হক।
আপনার মতামত লিখুন :