বরংগাইল হাইওয়ে থানা পুলিশের ৭০০ মামলা, কমেছে দুর্ঘটনা

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে মানিকগঞ্জের বরংগাইল হাইওয়ে থানা পুলিশ গত তিন মাসের নিয়মিত অভিযানে প্রায় সাতশত’ যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। মহাসড়কটিতে বেআইনিভাবে থ্রি-হুইলার, ওভারস্প্রিড, ফিটনেসবিহীন, ডেটফেলড ও ড্রাইভিং লাইন্সেসবিহীন যানবাহন চলাচলের অপরাধে এসব মামলা দেয়া হয়েছে। এতে সড়ক দুর্ঘটনা কমে আসায় জনমনে ফিরেছে স্বস্তি। নিয়মিত অভিযান ও জনসচেতনা বাড়াতে মাইকিং ও সর্বস্থরের মানুষের সহযোগিতায় মরণফাঁদ খ্যাত মহাসড়কটি যানবাহন চলাচলে অনেকইটাই এখন নিরাপদ বলে জানিয়েছেন বরংগাইল হাইওয়ে থানার ওসি মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান।

৫ বছরেও নির্মাণ হয়নি সেতু, ভোগান্তিতে ২০ গ্রামের মানুষ

বিস্তারিত পড়ুন

পরিবহন মালিক-শ্রমিক ও স্থানীয়রা জানান, ২০২৪ সালে ৫ই আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পুলিশের কার্যক্রম অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়ে। ফলে মহাসড়কটি অরক্ষিত হলে যেখানে সেখানে থ্রি-হুইলারের স্ট্যান্ডে অবাধে চলাচল শুরু হয়। সেইসঙ্গে ছিল বাস-ট্রাকসহ ছোট-বড় বিভিন্ন ধরণের যানবাহন। এগুলোর বেশির ভাগই ছিল ফিটনেসবিহীন, কাগজপত্র মেয়াদোত্তীর্ণ, চালকেরও ছিল না লাইন্সেস। যে কারণে মহাসড়কে দুর্ঘটনা বাড়তে থাকে। পরে হাইওয়ে পুলিশের কার্যক্রম পুরোপুরি শুরু হলে। অবৈধ যানবাহন চলাচল কমে আসে। মামলার ভয়ে অনেক পরিবহন-মালিক শ্রমিকরা কাগজপত্র হালনাগাদ করতে থাকেন।

বরংগাইল হাইওয়ে থানা থেকে জানা যায়, গত বছরের ৭ই নভেম্বর ওসি মো. মুস্তাফিজুর রহমান এই থানায় যোগদান করেন। এরপর আরও কয়েকজন অফিসার যোগদান করেন। সম্মলিতভাবে তারা জনসচেতনা বাড়াতে ও জনগণের সহযোগিতা চেয়ে মহাসড়কে মাইকিং করেন। প্রতি মাসের ১২ তারিখে ওপেন হাউজ ডে করেন। সেখানে নানা শ্রেণি পেশার মানুষের সমস্যা, পরামর্শ ও সমাধানে সৃষ্টি হয় জনসচেতনা। মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে ও অভিযান চালিয়ে নভেম্বর মাসে থ্রি-হুইলার, বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের বিরুদ্ধে ১৫৩টি মামলা দেয়া হয়। ডিসেম্বর একইভাবে ৩১৩টি মামলা ও চলতি বছরের জানুয়ারিতে ২২৮টি মামলা দেয়া হয়েছে। এই সময়ে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে দুইজন। জনসচেতনা বৃদ্ধি ও নিয়মিত অভিযানে তুলনামূলক সড়ক দুর্ঘটনা কমে এসেছে।

সীমান্তে বিএসএফ’র খুঁটি-সার্চলাইট স্থাপন বন্ধ করল বিজিবি

বিস্তারিত পড়ুন

এ ব্যাপারে বরংগাইল হাইওয়ে থানার ওসি মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘উর্দ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে আমরা দায়িত্বপালন করে যাচ্ছি। নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হচ্ছে। এতে কমে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে সচেতনা বেড়েছে। তারা কাগজপত্র হালনাগাদ ও যানবাহন সঠিকভাবে মহাসড়কে চালাচ্ছেন। তাই অনেকটাই সড়ক দুর্ঘটনা কমে এসেছে। মহাসড়কে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’