জুলাই-আগস্টে সংগঠিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মদদে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের নিরাপদে দেশ ছাড়তে দেওয়ার প্রতিবাদে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিসহ ৪ দফা দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। তবে শিক্ষা ভবনের সামনে পুলিশের ব্যারিকেডে বাধা পেয়ে সেখানেই তাদের কর্মসূচি শেষ হয়।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে ঘেরাওয়ের উদ্দেশে যাত্রা করে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা–কর্মীরা।
বিক্ষোভ মিছিলে নেতা–কর্মীদের ‘জাগো জাগো জনতা, প্রশ্ন কর ক্ষমতা’; ‘কত টাকা খাইছে নেভি, জবাব দে তাড়াতাড়ি’; ‘প্রশাসন শুদ্ধ কর, পুলিশের বিচার কর’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই আচরণ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল।
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের বিচার চেয়েছি। আপনারা তা করেননি। এখন সন্ত্রাসের জন্য অনুতপ্ত না হয়ে হরতাল ডাকে। নৌবাহিনী গতকাল রাতে ৬২৬ জন সন্ত্রাসীকে নিরাপত্তা দিয়েছে। নৌবাহিনী জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে কীভাবে খুনিদের নিরাপত্তা দেওয়ার সাহস করে? শুধু নিরাপত্তায় দেয়নি; নিরপত্তা দিতে গিয়ে ছাত্র-জনতাকে মেরে রক্তাক্ত করেছে তারা।
তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যা কিছুই হোক আমরা এখন থেকে এই সুশীল সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়াব।
ইনকিলাব মঞ্চের চার দফা দাবি হলো, জুলাই গণহত্যার বিচারের ব্যর্থতার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ এবং সরকারের পক্ষ থেকে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায় পরিপূর্ণ প্রকাশ; সব পাবলিক প্রোগ্রামে গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের দোসরদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করা; চট্টগ্রামে নেভির যেই কর্মকর্তারা আওয়ামী সন্ত্রাসীদের পালাতে সাহায্য করেছে এবং প্রতিবাদী ছাত্র–জনতার ওপর হামলা করেছে অবিলম্বে তাদের বিচারের আওতায় আনা; যেসব আমলা ও সামরিক কর্মকর্তারা গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনে মদদ দিচ্ছে অনতিবিলম্বে তাদের শনাক্ত করে বিচারের মুখোমুখি করা।
আপনার মতামত লিখুন :