ঢাকা সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দেশ: রাষ্ট্রপতি

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৫, ০৮:৩২ এএম

বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দেশ: রাষ্ট্রপতি

ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, সমাজে সাম্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি অর্জিত জ্ঞানকে মানুষের কল্যাণে এবং সেবায় কাজে লাগানো উচিত। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একটি প্রধান ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, সরস্বতী পূজা বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম জনপ্রিয় উৎসব। অজ্ঞতার অন্ধকার দূর করতে বিদ্যা ও জ্ঞানের দেবী সরস্বতীর প্রতি অসংখ্য ভক্ত ও শিক্ষার্থী পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। পূজা উপলক্ষে বর্ণিল সাজ-সজ্জা এবং নানা আয়োজনে এক আনন্দময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়। তিনি আশা প্রকাশ করেন, দেশের প্রতিটি মানুষ জ্ঞানের আলোয় উজ্জ্বল হয়ে একটি অসাম্প্রদায়িক, কল্যাণকর ও উন্নত সমাজ গঠনে অংশ নেবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দেশ। আমাদের ইতিহাসে রয়েছে মহান ঐতিহ্য, যেখানে মানুষ একে অপরের ধর্মীয় আচার ও অনুষ্ঠানে সহাবস্থান করেছে। এই ঐতিহ্যকে শক্তিশালী রাখতে আমাদের সবাইকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখতে হবে।

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, আমি আশাবাদী যে, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা একটি জ্ঞানভিত্তিক, সৌহার্দপূর্ণ এবং বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলব। সত্য, ন্যায় এবং জ্ঞানের আলোয় আমাদের দেশ, জাতি ও সমাজের প্রতিটি সদস্য উদ্ভাসিত হোক।

এছাড়া, সোমবার সকাল থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বাণী অর্চনা, আরতি ও পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে দেবী সরস্বতীর পূজা করবেন। তারা বিশ্বাস করেন, দেবী সরস্বতী হলেন ভগবানের জ্ঞান ও বিদ্যার প্রতীক। প্রতি বছর মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে বিদ্যাদেবীর পূজা অনুষ্ঠিত হয়। দেবী সরস্বতীর হাতে বীণা থাকায় তাকে বীণাপাণি হিসেবেও অভিহিত করা হয়। সাদা রাজহাঁস তার বাহন।

ঢাকার বিভিন্ন মন্দির ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পূজার আয়োজন হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল মাঠে সরস্বতী পূজার প্রধান কেন্দ্র হয়ে ওঠে।

আরবি/এফআই

Link copied!