মহাখালী রেলগেট এলাকায় ৪ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) মো. শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটের দিকে তারা ঘটনাস্থলে আসেন।
শরীফুল ইসলাম বলেন, রাজধানীর মহাখালীতে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা রেললাইন অবরোধ করেছেন। সেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
মহাখালী রেলগেট অবরোধ করে রেললাইনের উপর অবস্থান নিয়েছেন রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ দাবি করা শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে তিনটার পর তারা ওইস্থানে অবস্থান নেন। শিক্ষার্থীদের অবস্থানের ফলে ওই রুটের রেল ও যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
এর আগে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বেলা ১১টা থেকে রাজধানীর মহাখালীর আমতলীতে কলেজের সামনের সড়কে অবস্থান নেয় ওই শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুরের দিকে উপস্থিতি বাড়লে তারা মহাখালী রেলগেটে আসেন।
সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা আজ (৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত টানা ব্যারিকেড কর্মসূচি পালন করছেন। রোববার রাতে, কলেজের মূল ফটকের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিতুমীর ঐক্যের উপদেষ্টা মাহমুদুল হাসান মুক্তার এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন। তিনি জানিয়েছেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে যে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, তাতে রাষ্ট্র তাদের সঙ্গে দ্বিচারিতা করছে, এমনটাই তাদের ধারণা হয়েছে।
মাহমুদুল হাসান মুক্তার বলেন, আমরা গতকালই আজকের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলাম। কিন্তু বিশ্ব ইজতেমার জন্য কিছু সময়ের জন্য কর্মসূচি শিথিল করেছিলাম। তবে, এখন থেকে আমাদের কর্মসূচি আর শিথিল হবে না।
শিক্ষার্থীরা তাদের তিন দফা দাবি তুলে ধরেন:
১. তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের জন্য রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে।
২. শিক্ষা উপদেষ্টার বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করে, তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
৩. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন গঠন প্রক্রিয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর আইন উপদেষ্টার চাপ সৃষ্টি করার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করে, আইন উপদেষ্টাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
এদিকে, তিতুমীর কলেজের একদল শিক্ষার্থী গত পাঁচ দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে অনশন করছেন। তাদের দাবি, তিতুমীর কলেজের পাশাপাশি নতুন সাংবাদিকতা ও আইন বিভাগ চালু করে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে অনার্স কোর্স চালু করা হোক।
শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন দেশব্যাপী শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত আলোচনায় এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে, যেখানে সরকারি নীতি ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের স্বীকৃতির ব্যাপারে প্রশ্ন উঠছে।