তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের আইডিয়া প্রকল্পের গাড়ি ব্যবহারের ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিভাগের পলিসি এডভাইজার (সমন্বয়ক ও সংস্কার) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
নিজ ব্যাখ্যায় তিনি দাবি করেন যে, নিজের ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করে বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়ে প্রবেশে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। এজন্য আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরীর কাছে একটি সরকারি গাড়ি চাইলে উক্ত গাড়িটি পান তিনি। সচিব বললে গাড়ি ব্যবহার বাবদ চাওয়া অর্থ পরিশোধ করে দেবেন তিনি।
মঙ্গলবার(৪ ফেব্রুয়ারি) “প্রকল্পের গাড়ি ব্যবহার করেন পলিসি অ্যাডভাইজর” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে রূপালী বাংলাদেশ। সংবাদ প্রকাশের পূর্বে কয়েক দফা যোগাযোগ করে ফয়েজ তৈয়্যবের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এমন সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নিজের ফেসবুক আইডি’তে গাড়ি ব্যবহার সম্বলিত একটি পোস্ট করেন তিনি।
পোস্টটিকে নিজের ব্যাখ্যা উল্লেখ করে ফয়েজ তৈয়্যব লেখেন, “এই সিগ্নেচারের ভদ্রলোক (আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান) আমাকে মূল চিঠি দেন নি, একটা ফটোকপি আমার ডেস্কে ফেলে গেছেন। রিসিভড নোট ছাড়াই। আমি সচিব সাহেবকে জানিয়েছি। বলেছি যেহেতু আপনার নির্দেশে গাড়ি দিয়েছেন বিষয়টি দেখুন, দরকার হলে আমি টাকাটা (সাড়ে ৮৫ হাজার) পে করে দিব। এই সক্ষমতা আমার রয়েছে”।
ফয়েজ তৈয়্যব আরও লেখেন যে, প্রথম ২১ দিন ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করেছি। এতে বিভিন্ন সরকারি অফিসে ঢুকতে সমস্যা হয়, গাড়িতে সরকারি স্টিকার না থাকায় বাইরে দাড়া করিয়ে রাখে। প্রথম ৩ সপ্তাহে অনেক গুলা মিটিং এ সময়মতো ঢুকতে পারিনি। বিশেষভাবে সচিবালয়ের মিটিংগুলোতে গাড়ির পাস না থাকলে ওটিপি নিয়ে গাড়ি বাইরে রেখে ভিতরে যেতে হয়। পরে আমি সচিবকে বলেছি, আমাকে সরকারি গাড়ি দিন একটা।
এ বিষয়ে রূপালী বাংলাদেশকে ফয়েজ তৈয়্যব আরও বলেন, আমি একজন সৎ মানুষ সুতরাং নিজের আত্মপক্ষ সমর্থনের সবকিছু আছে। এখানে আমি কোন অপরাধ করিনি। আমি একটা মন্ত্রণালয়ে আছি যেখানে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প চলে। সেখানে একটা পয়সাও আমি দুর্নীতি করিনি। আমার সততা এবং নৈতিকতা অনেক শক্তিশালী।