সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়াকে দ্রুত ও কার্যকর করতে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষা এক বছরের মধ্যে সম্পন্ন করার প্রস্তাব দিয়েছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। কমিশন বলছে, বর্তমান বিসিএস পরীক্ষার প্রক্রিয়া অত্যধিক দীর্ঘ হওয়ায় নিয়োগ থেকে যোগদান পর্যন্ত সময় অনেক বেশি লাগে, যা সময়োপযোগী নয়। এই পরিস্থিতি দ্রুত সমাধানের জন্য কমিশন নতুন সময়সীমার প্রস্তাব দিয়েছে।
কমিশনের প্রস্তাবিত নতুন সময়সীমা অনুযায়ী, পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) পরীক্ষার বার্ষিক ক্যালেন্ডার নির্ধারণ করা হবে। এই ক্যালেন্ডারের আওতায় জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। তারপর, এপ্রিল মাসে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা, জুনে মূল লিখিত পরীক্ষা, ডিসেম্বরে ফল প্রকাশ, এবং জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন করার সুপারিশ করা হয়েছে।
এছাড়া, এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে চূড়ান্ত ফল ঘোষণা, মে মাসে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পুলিশ ভেরিফিকেশন এবং জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে গেজেট প্রকাশ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এরপর, জুলাই মাসের প্রথম দিন থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাজে যোগদানের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান এবং জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী তাদের নিজ নিজ কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।
এছাড়া, কমিশন জনায় যে, সরকারি চাকরিতে মেধাভিত্তিক নিয়োগ ও পদোন্নতির জন্য নতুন নীতিমালা বা আইন প্রণয়ন করা যেতে পারে, যাতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সহজতর এবং কার্যকরী হয়।
আপনার মতামত লিখুন :