ভারতে বসে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়া বন্ধ করার পদক্ষেপ নিতে প্রতিবাদপত্র দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রাণালয় ভারত সরকারকে অবিলম্বে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়ার চেতনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে। বৃহস্পতিবার এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফরমে ক্রমাগত মিথ্যা ও বানোয়াট মন্তব্য ও বিবৃতি দেওয়ায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারত সরকারের কাছে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। তিনি (শেখ হাসিনা) ভারতে থাকাকালীন সামাজিক মিডিয়া এবং অন্যান্য যোগাযোগ ব্যবহার করে এই ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট এবং উসকানিমূলক বিবৃতি দেওয়া থেকে তাকে বিরত রাখতে বলা হয়েছে।
শেখ হাসিনার উসকানিমূলক এই ধরনের বক্তব্য বাংলাদেশের জনগণের অনুভূতিতে আঘাত করছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। তার এই ধরনের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের প্রতি একটি শত্রুতামূলক কাজ হিসেবে বিবেচিত এবং দুই দেশের মধ্যে একটি সুস্থ সম্পর্ক স্থাপনের প্রচেষ্টার জন্য সহায়ক নয়।