শেখ হাসিনার বক্তব্যের পর থেকেই ক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। গত দুদিনে ভাঙচুর চালানো হয়েছে অন্তত ৩৫ জেলায়। বিভিন্ন স্থানে গুঁড়িয়ে দেয়া হয় আওয়ামী লীগ কার্যালয় ও শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল। সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কিশোরগঞ্জের বাড়িতেও ভাঙচুর ও আগুন দেয়া হয়েছে।
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কিশোরগঞ্জ শহরের বাসভবন। বৃহস্পতিবার রাতে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। বাড়ির দরজা ভাঙার পাশাপাশি পুড়িয়ে ফেলা হয় বিভিন্ন জিনিসপত্র। আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় মোটরসাইকেলেও। একই জেলায় গুঁড়িয়ে দেয়া হয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়। ভাঙচুর করা হয় কয়েক নেতার বাড়ি।
নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের দাদার বাড়ি বায়তুল আমানে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। এক পর্যায়ে আগুনও দেয়া হয়।
জামালপুরে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর হয়েছে। একই জেলায় অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনের বাবার বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছে ছাত্র-জনতা।
খুলনার দিঘলিয়ায় শেখ হাসিনা ও রেহানার পৈত্রিক গেস্ট হাউজ ভাঙচুর করা হয়েছে।
এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও প্রতিকৃতি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ছাত্র-জনতা। আর বগুড়া গাইবান্ধা, ভোলা ও টাঙ্গাইলসহ কয়েকটি জায়গায় আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে।