দুদক সংস্কারে ৪৭টি সুপারিশ, টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৫, ১০:০৩ এএম

দুদক সংস্কারে ৪৭টি সুপারিশ, টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব

ফাইল ছবি

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাঠামোগত সংস্কার ও কার্যকারিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ৪৭টি সুপারিশ করেছে দুদক সংস্কার কমিশন। বিশেষত, অর্থপাচার এবং উচ্চপর্যায়ের দুর্নীতি তদন্তের জন্য দুদকের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে পৃথক একটি টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এর আগে, ১৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছিল।

মূল সুপারিশগুলো হলো:

১. দুদককে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া।  
২. অর্থপাচার ও উচ্চপর্যায়ের দুর্নীতির তদন্তে টাস্কফোর্স গঠন।  
৩. স্বার্থের দ্বন্দ্ব প্রতিরোধে নতুন আইন প্রণয়ন।  
৪. দুদকের ক্ষমতা অপব্যবহার রোধে আইনি কাঠামোর পরিবর্তন।  
৫. দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় কৌশলপত্র প্রণয়ন ও ন্যায়পাল নিয়োগ।  
৬. সরকারি সেবা খাতের সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজেশন।  
৭. রাজনৈতিক ও নির্বাচনী অর্থায়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ।  
৮. দুদকের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি রোধে পৃথক শৃঙ্খলা অনুবিভাগ গঠন।  
৯. দুদকের বেতন কাঠামো জাতীয় পর্যায়ের তুলনায় দ্বিগুণ করা।  

এছাড়া, সুপারিশে বলা হয়েছে, দুদকের কমিশনারদের সংখ্যা তিন থেকে পাঁচে বাড়ানো, অন্তত একজন নারী কমিশনার রাখা এবং কমিশনারদের মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে চার বছরে কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রতিটি জেলায় দুদকের অফিস স্থাপন, বিশেষ জজ আদালত প্রতিষ্ঠা এবং অভ্যন্তরীণ কর্মসংস্কৃতি ও ব্যবস্থাপনা সংস্কারের সুপারিশও করা হয়েছে।

দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করার জন্য সরকারের সহযোগিতায় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের বিষয়টিও সুপারিশের মধ্যে রয়েছে।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার একাধিক সংস্কার কমিশন গঠন করে। এর অংশ হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন গঠন করা হয় এবং এই সুপারিশগুলো দেওয়া হয়।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এসব সংস্কার কার্যকর হলে দুদকের কার্যক্রম আরও শক্তিশালী হবে এবং দুর্নীতি দমন কার্যক্রমে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে।

আরবি/এফআই

Link copied!