বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যুক্তরাজ্যে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অর্জিত অবৈধ তহবিল উদ্ধার করার জন্য কাজ শুরু করেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, তদন্ত ইতিমধ্যেই ১২টি দেশে বিস্তৃত করা হয়েছে এবং সংস্থাটি যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ কয়েকটি দেশের কাছ থেকে সহায়তার আশ্বাস পেয়েছে।
যুক্তরাজ্যের এমপি টিউলিপ সিদ্দিক, যিনি কিছু সময়ের জন্য সিটি মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দায়িত্বে ছিলেন। তবে, গেল মাসে দুর্নীতির অভিযোগে পদ হারান তিনি। এখন, তিনি নিজেই দুর্নীতির অভিযোগের মুখে পড়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যে তদন্ত চলছে।
অর্থপাচারের তদন্ত: ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের তদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রমাণ দিচ্ছে যে পাচারকৃত অর্থ কেবল যুক্তরাজ্যেই নয়, বরং বিভিন্ন গন্তব্যে স্থানান্তরিত হয়েছে। দুদক বর্তমানে যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অন্যান্য দেশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করছে এবং বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।
সম্পত্তির সাথে সংশ্লিষ্টতা: যুক্তরাজ্যে থাকা বিলাসবহুল গুলশান ভবনের বাসিন্দাদের তালিকায় টিউলিপ সিদ্দিকের নাম পাওয়া গেছে। আরও কিছু রিপোর্টে বাংলাদেশের আরও চারটি সম্পত্তির সাথে তার সংশ্লিষ্টতার কথা উঠে এসেছে। তবে, লেবার পার্টির সূত্র দাবি করেছে যে, টিউলিপ সিদ্দিক বাংলাদেশের কোনো সম্পত্তির মালিক নন এবং সেসব ঠিকানার মালিকানা তার নয়।
এদিকে, গত জানুয়ারির শেষদিকে ব্রিটেনের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির কর্মকর্তারা দুদকের তদন্তকারীদের সহায়তা দিতে ঢাকায় কয়েকদিন কাটিয়েছেন।
টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং প্রাথমিক ফলাফল অনুযায়ী, তার অবৈধ সম্পদের বিষয়টি আরও গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :