গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’পরিচালনা করে ৬০৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। একই সময় বিভিন্ন মামলায় এক হাজার ১৬৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই অভিযান পরিচালিত হয়। শনিবার থেকে শুরু হওয়া এই বিশেষ অভিযানে পুলিশ, র্যাব এবং সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা যৌথভাবে অংশ নিয়েছেন। এর আগে রবিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে ৩৪৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। একই সময়ে বিভিন্ন মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ভিত্তিতে আরও ১,১৭৮ জনকে আটক করা হয়।
পুলিশ সদর দপ্তরের এক মুখপাত্র জানান, "অপারেশন ডেভিল হান্ট’ মূলত অপরাধ দমন এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধের জন্য পরিচালিত হচ্ছে। এই অভিযানের মাধ্যমে সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।"
অভিযান চলমান থাকায় আরও গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধারের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সাধারণ জনগণকে যে কোনো ধরনের সন্দেহজনক কার্যকলাপ সম্পর্কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তথ্য দিতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের অভিযান অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও, নিরীহ নাগরিকদের হয়রানির অভিযোগও উঠতে পারে। তাই প্রতিটি গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে যথাযথ প্রমাণ যাচাই এবং মানবাধিকার নিশ্চিত করার উপর জোর দেওয়া প্রয়োজন।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এই বিশেষ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে, যা চলমান থাকবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
অপারেশন ডেভিল হান্টে এখন পর্যন্ত দুটি বিদেশি পিস্তল, একটি এলজি, একটি ওয়ান শুটারগান, একটি পাইপগান, ২ রাউন্ড গুলি, ৫টি কার্তুজ, ২টি চাপাতি, ৬টি দা/রামদা, ১৩টি চাকু/ছোরা, ২টি কুড়াল, একটি করাত, ৩টি হাতুড়ি, ২টি প্লাস, ২টি বাটাল, ২টি লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :