ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

জুলাই নৃশংসতা নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন আজ

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫, ০৯:০০ এএম
ফাইল ছবি

জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন আজ  বুধবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করতে যাচ্ছে। যা ২০২৪ সালের জুলাই এবং আগস্ট মাসে বাংলাদেশে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থান চলাকালে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং নিপীড়নের ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধান ও প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে।

এই প্রতিবেদনে অন্তত ৬৫০ জনের মৃত্যুর বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে, যার মধ্যে ১৬ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ৪০০ জন এবং ৫-৬ আগস্টের মধ্যে আরও প্রায় ২৫০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। 

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক জেনেভার প্যালেস ডেস নেশনসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় জানিয়েছে, প্রতিবেদনটি বাংলাদেশ সময় বেলা আড়াইটায় জাতিসংঘের ওয়েব টিভিতে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনটি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে শুরু হওয়া বিক্ষোভ আন্দোলনের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন ও রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের ব্যাপারে গভীর তদন্ত চালিয়েছে। ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ভূমিকা এবং বিক্ষোভের সাথে সংশ্লিষ্ট জনগণের ওপর নৃশংসতা ও আক্রমণের ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করেছে মিশনটি।

এটি উল্লেখযোগ্য যে, জাতিসংঘের এ তদন্ত দলটি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আমন্ত্রণে ১৬ সেপ্টেম্বর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত শুরু করে। মিশনটি বিভিন্ন এলাকা সফর করে, স্থানীয় জনগণের সাথে কথা বলে, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, গোষ্ঠী ও সংস্থার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে মিশনটি জানায় যে, গণঅভ্যুত্থানের সময়ে সরকারী বাহিনীর অত্যাধিক শক্তির ব্যবহার, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর নির্বিচার হামলা, বিক্ষোভকারীদের প্রতি নিষ্ঠুরতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অনেক ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবেদনটির মধ্যে ২০২৪ সালের জুলাই এবং আগস্টে সংঘটিত এই ঘটনাগুলির বিশদ বিবরণ প্রদান করা হবে।

প্রতিবেদনটি যে সময়ে প্রকাশিত হবে, সেই সময় বিশেষভাবে বাংলাদেশের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এতে দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি ও আন্তর্জাতিক পরিপ্রেক্ষিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের অফিস জানিয়েছে, এই প্রতিবেদনটি বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার পরিস্থিতির এক গুরুত্বপূর্ণ বিশ্লেষণ হবে, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য নির্দেশনা দেয়।