প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম জানিয়েছেন, সারাদেশে ৮ শতাধিক আয়নাঘর (গোপন আটক কেন্দ্র) ছিল, যা এখন খুঁজে বের করা হবে। আজ (বুধবার) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এই তথ্য দেন।
শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, আয়নাঘর পরিদর্শনকালে যা দেখেছেন, তা অবর্ণনীয় এবং এটি বাংলাদেশের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। তিনি আরও বলেন, এই আয়নাঘরগুলি আমাদের জন্য এক বিভৎস বাস্তবতা এবং আমাদের কাজ হবে এগুলিকে চিহ্নিত করা এবং যেখানে যেখানে ছিল, তা খুঁজে বের করা।
প্রেস ব্রিফিংয়ে শফিকুল আলম বলেন, আয়নাঘরের অস্তিত্ব ছিল দেশের বিভিন্ন স্থানে। তবে, এগুলোর সঠিক সংখ্যা নিয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে এই আয়নাঘরের প্রতিটি অবস্থান নির্ধারণ করা এবং যে সমস্ত স্থানগুলোতে নির্যাতন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে সেগুলোর জন্য দায়ীদের বিচার করা।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, অপূর্ব জাহাঙ্গীর, সিনিয়র সহকারী প্রেস সেক্রেটারি ফয়েজ আহমদ, এবং সহকারী প্রেস সেক্রেটারি সুচিস্মিতা তিথি।
উল্লেখ্য, আয়নাঘর ছিল দেশের গোয়েন্দা সংস্থার এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অস্থায়ী আটক কেন্দ্র, যেখানে বন্দীদের অবৈধভাবে আটক করে নির্যাতন করা হতো।
সম্প্রতি, এই ধরনের কেন্দ্রের বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং সরকারের পক্ষ থেকে এগুলির সঠিক অনুসন্ধান ও বিচার করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :