জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, ২০১৮ সালের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনকালে আওয়ামী লীগের কর্মীরা নারী আন্দোলনকারীদের ওপর শারীরিক নির্যাতন, ধর্ষণের হুমকি এবং যৌন হয়রানি চালিয়েছে। এ ছাড়া শিশুদের বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ নানা মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টিও উঠে এসেছে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালের জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার সশস্ত্র কর্মীদের সংগঠিত করতে শুরু করে। ছাত্রলীগের কর্মীরা আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠিসোঁটা, ধারালো অস্ত্র এবং কিছু ক্ষেত্রে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, নারীদের আন্দোলনে অংশগ্রহণে বাধা দেওয়ার জন্য তাদের ওপর যৌন নিপীড়ন ও অপদস্থ করার চেষ্টা করা হয়েছে। নারী আন্দোলনকারীদের বেআইনিভাবে আটক করা এবং শারীরিক নির্যাতন করার পাশাপাশি তাদের ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের হুমকি দেওয়া হয়।
এছাড়া প্রতিবেদনটি জানায়, আন্দোলন চলাকালে শিশুদেরও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা শিশুদের বিচারবহির্ভূত হত্যা, বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার এবং শারীরিক নির্যাতন করেছিল।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে একটি ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে, যেখানে ঢাকায় এক নারীকে আটকিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক নির্যাতন এবং যৌন হয়রানি করা হয়। একইভাবে, কুমিল্লায় ছাত্রলীগ কর্মীরা বেশ কয়েকজন নারীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে, যার মধ্যে দুই শিক্ষার্থীও ছিলেন।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উঠে আসা এসব অভিযোগ আন্দোলনকারীদের জন্য এক বড় ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।