‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ‘নির্দিষ্ট সরকারকেন্দ্রিক’ হওয়া উচিত নয়’

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৫, ১১:১৬ এএম

‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ‘নির্দিষ্ট সরকারকেন্দ্রিক’ হওয়া উচিত নয়’

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কোনো নির্দিষ্ট সরকার বা শাসনব্যবস্থার ওপর নির্ভর করা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই কথা বলেন।

তৌহিদ হোসেন বলেন, সম্পর্ক নির্দিষ্ট সরকারকেন্দ্রিক হওয়া উচিত নয়। যে কোনো দল বা সরকার ক্ষমতায় থাকুক না কেন, আমাদের সম্পর্ক পারস্পরিক স্বার্থ ও সম্মানের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠবে। আমি বিশ্বাস করি, উভয় পক্ষই তাদের স্বার্থ বোঝে ও বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক থাকা উচিত।

তিনি আরও বলেন, আমরা শুধু আওয়ামী লীগের গত ১৫ বছর কেন দেখব? বিএনপির আমলেও (১৯৯৬-২০০১) তো দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছিল।

সীমান্ত নিরাপত্তা বিষয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, সীমান্তে গুলিবর্ষণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং ২০২৪ সালে ২৪ জন বাংলাদেশি সীমান্তে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ সমান নাগরিক অধিকার ভোগ করে এবং সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।

শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ প্রসঙ্গে তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারত যদি তাকে ফেরত না পাঠায়, তবে তার বক্তব্যে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করার প্রস্তাব দিয়েছেন, যাতে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি না হয়।

আদানি বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ চালিয়ে যেতে হবে, তবে মূল্য এবং কয়লার ক্রয়মূল্য নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

অষ্টম ভারত মহাসাগর সম্মেলনের ফাঁকে তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বৈঠক করেন, যেখানে সম্পর্কের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ যেমন সংখ্যালঘু নির্যাতন, সীমান্ত হত্যা, আদানি বিদ্যুৎ প্রকল্প ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়।

এপ্রিলে বিমানসটেক সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক হতে পারে বলে জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।

আরবি/এফআই

Link copied!