ঢাকা শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

দুঃখ প্রকাশ করলেন উপদেষ্টা মাহফুজ, কিন্তু কেন?

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫, ১১:২২ এএম
ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে ‘তৌহিদি জনতা’ শব্দটি ব্যবহারের কারণে দুঃখ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। বুধবার ভোরে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এই দুঃখ প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে মাহফুজ লিখেছেন, “আমার কিছু বক্তব্য হয়তো কারো কষ্টের কারণ হয়েছে, বিশেষ করে ‘তৌহিদি জনতা’ বলাটা। যারা আমার বক্তব্যের কারণে নারাজ-নাখোশ হয়েছেন, আমি আন্তরিকভাবে তাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। এছাড়া, গত কয়েক মাসে যদি অন্য কোনো বক্তব্যে কাউকে আঘাত দিয়ে থাকি বা সেটাকে বিভাজনমূলক মনে হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রেও আমি আমার বক্তব্য পুনর্বিবেচনা করার পক্ষে। জনগণের মধ্যে ঐক্যের জন্য ভারসাম্যপূর্ণ এবং বিভাজন-বিরোধী অবস্থান নেয়া জরুরি। আমরা না জালিম হতে চাই, না মজলুম।”

[34868]

উপদেষ্টা আরও লিখেন,  ‘এ অভ্যুত্থান সবার। সেজন্যই মাস্টারমাইন্ড নামক মিডিয়ার তৈরি হাইপকে আমি শুরুতেই প্রত্যাখ্যান করেছি। আমরা সিদ্ধান্ত যারা নিতাম, তারা প্রায় সকল সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে অনেক স্টেকহোল্ডারদের সাথে কথা বলেছি। একটা সিদ্ধান্ত ফাইনালাইজ করতে অন্তত ৫/৬ টা গ্রুপের মতামত শুনে বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে হইসে। ফলে, এটা আসলে আমাদের সিদ্ধান্ত নেয়া বডির সামষ্টিক কৌশলগত সক্ষমতা যেমন, তেমনি অনেকগুলো গ্রুপ অব পিপলের অংশগ্রহণ ও পরামর্শের ও ফসল। কেউই অনুল্লেখযোগ্য নন। আর, জনগণ তো ১৯-৩৩ জুলাই কারো সিদ্ধান্তের জন্য বসে থাকেনি। তবে, তারা অবশ্যই  পাবিলিক- প্রাইভেট থেকে শুরু করে মাদ্রাসা- স্কুল- কলেজের ছাত্রদেরকেই লেজিটিমেট নেতৃত্ব হিসাবে মানতেন।’

[34866]

মধ্যবর্তী অবস্থান ধরে রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে লিখেছেন, ‘আমাদের মধ্যবর্তী অবস্থান ধরে রাখতে হবে। সবাইকে নিয়ে এগুতে হবে কিন্তু, Saboteur দের বাদ দিয়ে। Sabotage বা পেছন থেকে ছুরি মারা, অনার কোড না মানার অভ্যাস - এসব যেকোন বন্দোবস্তের জন্য হুমকিস্বরূপ। রাজনীতি মানে Gentlemen‍‍`s Agreement ও থাকবে না এটা যারা ভাবেন, তারা নিজেদের শুধরে নিন।’

মাহফুজ আরও লিখেছেন, ‘আমাদের শত্রু অগণিত এবং তারা সবাই শক্তিধর। মিত্র খুবই কম। একটু ছাড় দিয়ে যদি আমরা মিত্রতা বাড়াতে পারি এবং শত্রুদের পরাস্ত করতে পারি, তা আখেরে এদেশের জনগণকেই উপকৃত করবে। গণ-অভ্যুত্থানের সকল শক্তির ঐক্যই আমাদের গন্তব্য। একটা হিস্টরিক ব্লক তৈরির সম্ভাবনা আমাদের সামনে ছিল। এখনো আছে বটে।  ফ্যাসিবাদবিরোধী ও বাংলাদেশপন্থী জনগোষ্ঠীকে নিজেদের মধ্যেই রাজনৈতিক ভাবে ইতিবাচক প্রতিযোগিতা করতে হবে। কোনোভাবেই ফ্যাসিবাদী শক্তিকে রাজনীতিতে স্পেইস দেয়া যাবে না।’