নওগাঁয় চিরকুট লিখে বিএনপি নেতার আত্মহত্যা

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৫, ০৪:৫১ পিএম

নওগাঁয় চিরকুট লিখে বিএনপি নেতার আত্মহত্যা

চিরকুট

নওগাঁর ধামইরহাটে চিরকুটে বিএনপি ও কৃষকদলের নেতাদের দায়ী করে কৃষক দলের ওয়ার্ড সভাপতি মামুনুর রশীদ (৪৫) বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধায় নিহতের স্ত্রী খাদিজা বেগম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামুন উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড ভাতকুন্ডু এলাকার মৃত মহির উদ্দীনের ছেলে। তিনি জাহানপুর ইউনিয়ন ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক দলের সভাপতি ছিলেন।

চিরকুটে মামুন লিখেছেন, আমাইতাড়া বাজার কেবল নেটওয়ার্ক ব্যবসায়ী ও বিএনপি সমর্থক হানজালার নির্দেশে এবং শামীম ভাইয়ের কথামতো উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি তরিকুল ইসলাম, পৌর কৃষকদলের সভাপতি আরমান হোসেন রিপন, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান ও বাবুল ভাইকে বিভিন্ন সময় ১০ ও ২০ হাজার টাকা করে মোট ৬৫ হাজার টাকা দিয়েছি। টাকা নিয়েও কাজ না হওয়ার কারণে আমার মৃত্যুর জন্য তারা দায়ী।

খাদিজা স্বামীর মৃত্যুর বিচার চেয়ে বলেন, গত ১৭ তারিখ সোমবার রাত সাড়ে ১১টার সময় বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে (খিরা) ফসলের মাঠে আমার স্বামীকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। কর্তব্যরত চিকিৎসক জয়পুরহাট সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেফার করেন। শরীরের অবনতি ঘটলে বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, মামুন বিষ পান করায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। আমার স্বামী হত্যার চাই।

স্থানীয়রা জানান, বরেন্দ্রের ডিপ টিউবওয়েলের নিয়োগের কথা বলে কে বা কারা ৭০ হাজার টাকা নিয়েছে। গত ১২ তারিখ বরেন্দ্রের নিয়োগ হওয়ার কথা থাকলেও তা না হওয়ার কারণে মনখারাপ ছিল মামুনের। সম্ভবত এ কারণেই সে বিষ পান করেছে। এ বিষয়ে একটি চিরকুট লিখে গেছে সে। চিরকুটের সূত্র ধরে দোষীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান তারা।

চিরকুটে অভিযুক্ত হানজালা মুঠোফোনে বলেন, ডিপ টিউবওয়েলের বিষয়ে আমি কারও কাছ থেকে কোনো প্রকার টাকা-পয়সা নিইনি। কাউকে বলিওনি যে, ডিপের বিষয়ে টাকা-পয়সা লাগবে।  

ধামইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাইসুল ইসলাম জানান, ওই ব্যক্তি বগুড়া মেডিকেলে মৃত্যুবরণ করেছেন। আমরা তাদেরকে বগুড়াতে ময়নাতদন্ত করতে বলেছি। এ বিষয়ে পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পেলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে তদন্তের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আবু/এস

Link copied!