জাতীয় নাগরিক কমিটি (জানাক) এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (বৈবিছাআ) যৌথ উদ্যোগে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে আত্মপ্রকাশ হবে তারুণ্যনির্ভর রাজনৈতিক দল। দলের প্রধান হচ্ছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
তবে দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। অভ্যন্তরীণ টানাপোড়ন অনেকটা প্রকাশ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাকযুদ্ধে হয় কয়েকজন পদপ্রত্যাশীদের সমর্থকদের মধ্যে। তবে গত কয়েকদিনে দফায় দফায় বৈঠকের মাধ্যমে সে টানাপোড়ন অনেকটা নিরসন হয়েছে বলে জানা যায়।
জানাক এবং বৈবিছাআ এর শীর্ষ নেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অভ্যন্তরীণ টানাপোড়ন অনেকটাই নিরসন হয়েছে। তারা বর্তমানে নতুন দলের কমিটির আকার বা ফরম্যাট কেমন হবে, সেটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করছেন। পাশাপাশি দলের নাম এবং প্রতীক নির্ধারণের কাজ শেষ পর্যায়ে আছে।
একাধিক তরুণ নেতা জানান, কমিটির আকার বড় করে আলোচিত এবং গ্রহণযোগ্য ছাত্রনেতাদের ‘স্টেক’ দেওয়া হবে।
জানা যায়, আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে এক থেকে দুই বছরের মধ্যে কাউন্সিলের আয়োজন করা হবে। আত্মপ্রকাশ হতে যাওয়া আহ্বায়ক কমিটি ‘টপ ফোর’, ‘টপ সিক্স’ অথবা ‘টপ টেন’ কেন্দ্রিক করার আলোচনা করছেন ছাত্রনেতারা। পরে কমিটির আকার পূর্ণাঙ্গ কিংবা বড় করা হবে।
আরেক ছাত্রনেতা বলেন, চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি হলে আহ্বায়ক এবং সদস্য সচিবের পাশাপাশি মূখ্য সংগঠক ও মুখপাত্র পদ দুটি রাখা হবে। ‘টপ সিক্স’ কমিটি হলে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও সিনিয়র সদস্য সচিব পদও যুক্ত করা হবে।
আলোচনায় যারা
দল আত্মপ্রকাশের আগে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করে প্রধান হিসেবে দলের হাল ধরবেন নাহিদ ইসলাম৷ দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড বা সদস্য সচিব হিসেবে জানাক এর সদস্য সচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসুর) সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন অনেকটাই নিশ্চিত বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
মুখ্য সংগঠক হিসেবে আলোচনায় আছেন বৈবিছাআ এর আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং জানাকের মূখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তবে হাসনাত আব্দুল্লাহর সম্ভাবনা বেশি বলে উল্লেখ করেছেন বেশিরভাগ নেতারা।
মুখপাত্র পদের জন্য আলোচনায় আছেন জানাক এর যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসান জোনায়েদ, আহ্বায়ক নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী, মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম এবং মুখপাত্র সামান্তা শারমিন।
বৈবিছাআ এর আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ জানান, আমাদের সৌন্দর্য হলো আমরা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করে ফেলতে পারি। কারো ভাবার সুযোগ নাই যে, আমাদের মধ্যে অনৈক্য আছে। আমরা একতাবদ্ধ। বেশিরভাগের মতামত এবং পরামর্শের ভিত্তিতে আমরা দল গঠন করছি। এমন ফরম্যাটে করছি যেখানে সবার অংশগ্রহণ থাকবে।