তরুণ প্রজন্মকে পোলট্রি নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। পাশাপাশি মাছের প্রতি নির্ভরতা বাড়ানোর পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ফিশারিজ অন্ট্রাপ্রেনার সামিটে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই উপদেষ্টা আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমরা মাছে ভাতে বাঙালি বলি। কিন্তু আমাদের তরুণ প্রজন্ম কি মাছে ভাতে বাঙালি ‘
‘ওরা কিন্তু পোলট্রি ভাতে বাঙালি হয়ে যায়। অনেক সময় ডিম আর মাংস ছাড়া খেতে চায় না। নতুন প্রজন্মকে মাছ খাওয়াতে হবে।’
এসময় শিশুদের ছোট মাছ খাওয়ানোর তাগিদ দেন ফরিদা। তিনি বলেন, ‘বাচ্চাদের ছোট মাছ খাওয়া শেখাতে হবে ।‘
‘মাছের একটা অপরাধ হচ্ছে, তাদের কাঁটা আছে! কাঁটার জন্য খাবে না, এটা তো হবে না। কাঁটাসহ মাছ খাওয়া শেখাতে হবে। মাছকে জনপ্রিয় করে তুলবার জন্য কাজ করতে হবে।’
এসময় মৎস্যকে শিল্প বানালে মূল চরিত্র নষ্ট হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
তিনি বলেন, ‘তরুণেরা মৎস্য খাতে কাজ করার জন্য যে আগ্রহ দেখাচ্ছে, এটা অত্যন্ত উৎসাহের বিষয়। মৎস্যকে শিল্প বানালে এর মূল চরিত্র নষ্ট হয়ে যাবে।’
‘আন্তর্জাতিকভাবে দেখি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফুড প্রোডাকশনের যে ক্ষতিকারক দিক রয়েছে, সেটা অনেক ভাবে প্রভাবিত করবে। আপনারা শিল্প না লিখে অন্ট্রাপ্রেনার লিখেছেন, খুশি হয়েছি। কারণ অন্ট্রাপ্রেনার অনেক ক্রিয়েটিভ কাজ করে।’
পানি দূষণ ও জলাশয় ভরাটের কারণে মাছ উৎপাদন ঝুঁকিতে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন মৎস উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে এত বৈচিত্র্যময় মাছ আছে। এর সঙ্গে বৈচিত্র্যময় পরিবেশ আছে। তবে দুঃখের বিষয় আমাদের নদীগুলো দূষিত হয়ে গেছে। কৃষিতে কীটনাশকের ব্যবহার বেড়ে গেছে। আমাদের জলাশয়গুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এতে মাছ টিকবে না। সমস্যাগুলো বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট হওয়ায় সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দেশে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন যেন আমরা করতে পারি।’
সামিটের আয়োজন করে বিজম্যান মিডিয়া লিমিটেড ও বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তর। এতে মৎস্য উদ্যোক্তা, গবেষক, বিনিয়োগকারী, নীতিনির্ধারকেরা অংশ নেন।