রাতের ভোটের সেই এসপিরা চাকরি হারানো ও গ্রেপ্তার আতঙ্কে

মোস্তাফিজুর রহমান সুমন

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫, ১০:২৫ পিএম

রাতের ভোটের সেই এসপিরা চাকরি হারানো ও গ্রেপ্তার আতঙ্কে

২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিতর্কিত রাতের ভোটের অন্যতম কারিগর পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। মাঠ প্রশাসনে দায়িত্ব পালন করা সেই ৬৪ জেলার পুলিশ সুপারের (এসপি) পাশাপাশি রেঞ্জ ডিআইজি, মেট্রোপলিটনগুলোর পুলিশ কমিশনার ও উপ-কমিশনাররা (ডিসি) এখন চাকরি হারানো ও গ্রেপ্তার আতঙ্কে রয়েছেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটের প্রায় ৭ মাস হলেও জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় গুম, খুন, নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞে সরাসরি জড়িত পতিত আওয়ামী লীগ ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসর সেইসব পুলিশ কর্মকর্তারা এখনো বহাল তবিয়তে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। ৫ আগস্টের পর এসব বিতর্কিত পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা হলেও অধিকাংশ এখনো গ্রেপ্তার হয়নি।
রাতের ভোটের পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই সেই সময় বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করা ৮২ জন বিসিএস পুলিশ কর্মকর্তাকে গতকাল মঙ্গলবার ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) রয়েছেন ৯ জন, অতিরিক্ত ডিআইজি ৬১ জন এবং পুলিশ সুপার পদমর্যাদায় ১২ জন পুলিশ কর্মকর্তা। ওএসডি হওয়া ৮২ জনের তালিকায় বেশ কয়েকজন ২০১৮ সালের রাতের ভোটের বিতর্কিত পুলিশ সুপার ছিলেন। 
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, এই ৮২ জন কর্মকর্তা ২০১৮ সালের বিতর্কিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে, গত ২১ ফেব্রুয়ারি সপ্তাহে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জোর দিয়ে বলেছেন, দিনের ভোট রাতে করার অভিযোগে দেশের ৬৪ জেলার পুলিশ সুপারদের শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। আলোচিত এইসব এসপি ’১৮ সালের নির্বাচনে দিনের ভোট রাতের করায় সহযোগিতা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ৬৪ জেলার দায়িত্বে থাকা এসব এসপিকেও ওএসডি অথবা বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হবে। ইতিমধ্যে, ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ৪৫ জেলা প্রশাসককে (ডিসি) দুই দফায় ওএসডি করেছে সরকার। এর আগে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুলিশ ও র‌্যাবের হয়ে দায়িত্ব পালন করা ১০৩ কর্মকর্তার পদক প্রত্যাহার করে নিয়েছে সরকার।
পলাতক সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, সাবেক এসবিপ্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম, সাবেক ডিএমপি কমিশনার অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান, সাবেক পিআইবিপ্রধান বনোজ কুমার মজুমদার, সাবেক গোয়েন্দা-ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ, সাবেক সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার ও এসএম মেহেদী হাসান এবং সাবেক ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য বর্তমানে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত। আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী ও ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসর পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে গোপনে তারা যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে। সূত্রমতে, রাতের ভোটের সেই পুলিশ কর্মকর্তারা বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এরই মধ্যে তারা ভোল পাল্টে গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়েছেন। সেখানে থেকেই সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে নানা ষড়যন্ত্র করছেন। সম্প্রতি বেনজীর আহমেদ একটি অনলাইন আলোচনায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, দেশের ৯০ ভাগ পুলিশ আওয়ামী লীগের। তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে। তারা যেকোনো সময় বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করবে।
অন্যদিকে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রায় ৭ মাস পর রাতের ভোটের ৬৪ জেলার এসপিদের বিতর্কিত কর্মকান্ড ও দুর্নীতি-অপকর্ম নিয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দুদকের সিদ্ধান্তের পর ফের আলোচনা শুরু হয়েছে ২০১৮ সালের বহুল আলোচিত নির্বাচন নিয়ে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তারা প্রার্থীদের কাছ থেকে ‘হ্যান্ডসাম অ্যামাউন্ট’ কামিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো আওয়ামী সরকারদলীয় প্রার্থীদের জয়লাভে এসব পুলিশ কর্মকর্তার ভ‚মিকা সবচেয়ে বেশি। নির্বাচনের পর সেই এসপি, ডিসি, রেঞ্জ ডিআইজি, মেট্রোপলিটনের কমিশনার, পুলিশ সদর দপ্তর ও এসবির নীতিনির্ধারক পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সবাই একাধিকবার পদোন্নতিও পেয়েছেন। সেসব এসপিদের মধ্যে একজন মারা গেছেন, দুইজন কারাগারে ও দুইজন সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। বাকিরা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে ভোল পাল্টে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। লবিং করে এবং মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পোস্টিং নিয়েছেন। আবার অনেকে আরও ভালো পোস্টিং পেতে লবিং করে যাচ্ছেন।
গোয়েন্দা সূত্রমতে, ২০১৮ সালের রাতের ভোটের মাস্টারমাইন্ড মাঠপ্রশাসনের সেই ৬৪ জেলার এসপি, মেট্রোপলিটনের ডিসি, রেঞ্জ ডিআইজি ও পুলিশ কমিশনাররা ছাত্র-জনতার খুনের মামলার আসামি হলেও এখনো গেপ্তার হয়নি। বরং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ পদে বসেই পলাতক পুলিশ কর্মকর্তা রক্ষা এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের তথ্য দেওয়াসহ নানাভাবে সহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। চলতি সপ্তাহে সরকার রাতের ভোট ডাকাতির ‘মাস্টারমাইন্ড’ জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) বিরুদ্ধে প্রাথমিক ব্যবস্থা হিসেবে ওএসডি করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে সরকারের একাধিক সংস্থা তদন্ত শুরু করেছে। অন্যদিকে, যাদের তত্ত্বাবধানে জনগণের ভোট ডাকাতি হয় সেই পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
’১৮ সালের এসব পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রয়েছে জনগণের ভোটচুরির বিস্তর অভিযোগ। অধিকাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে, তারা পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে দু’হাত ভরে উৎকোচ নিয়ে ভোটের আগের রাতেই ‘ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং’-এর নেতৃত্বে ছিলেন। এদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা পুলিশ সদর দপ্তর। ’১৮ সালে দেশের ৬৪ জেলায় পুলিশ সুপারের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের অধিকাংশই ছিলেন ২০, ২১, ২২ ও ২৪ ব্যাচের। আওয়ামী লীগ সরকারের আস্থাভাজন হিসেবে তাদের নির্বাচনের আগে থেকেই পছন্দের জেলায় পদায়ন করা হয়। আর সেই আস্থার প্রতিদান দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে এসব কর্মকর্তা সব অপকর্মই করেছেন। তারা নির্বাচনের আগের রাতেই নৌকা প্রতীকে সিল মেরে ব্যালট দিয়ে বাক্স ভরাটের ব্যবস্থা নেন। আর নির্বাচনের দিন সকালে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে বলে দেখানো হয়।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন হয় দলীয় সরকারের অধীনে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে না এলেও বিএনপি ও জামায়াত ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে নির্বাচনের আগের রাতেই ভোটগ্রহণ শেষ করা হয়। আর নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাররা জানতে পারেন যে, তাদের ভোট আগের রাতেই ব্যালট বাক্সে ঢুকে গেছে। বহুল আলোচিত এ নির্বাচন পরিচিতি পায় রাতের ভোটের নির্বাচন হিসেবে। অভিযোগ রয়েছে, দেশ-বিদেশে ব্যাপকভাবে আলোচিত-সমালোচিত ওই রাতের ভোটের নির্বাচনে প্রধান ভ‚মিকায় ছিল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ সদর দপ্তরের কয়েকজন পদস্থ কর্মকর্তাসহ মাঠপর্যায়ে প্রতিটি জেলার পুলিশ সুপাররা ওই অপকর্মে মুখ্য ভ‚মিকা পালন করেন। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে ওইসব পুলিশ কর্মকর্তা পেশাদারত্বের বাইরে গিয়ে উল্টো বিরোধী দলসহ সাধারণ জনগণের ওপর দমন-পীড়নে নেতৃত্ব দেন। আওয়ামী লীগও টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় টিকে গিয়ে ওইসব পুলিশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি ও পোস্টিংয়ের পাশাপাশি নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। সেইসব পুলিশ কর্মকর্তার অনেকেই গোপনে বিদেশি নাগরিক হয়েছেন। পাচার করেছেন দুর্নীতির অর্জিত বিপুল পরিমাণ অর্থ।
ক্ষমতায় আসার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম এজেন্ডাই ছিল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের হাতে শহিদ হওয়া ছাত্র-জনতার হত্যার বিচার করা। প্রায় ৭ মাস পার হলেও সরকার তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। সম্প্রতি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে পাঠানো একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের নির্বাচনে তৎকালীন সরকারদলীয় প্রার্থীদের জিতিয়ে দেওয়ার নেপথ্যের আলোচিত-সমালোচিত জেলার এসপি, মেট্রোপলিটনের ডিসি (পুলিশ সুপার), রেঞ্জ ডিআইজি, মেট্রোপলিটনের কমিশনার, পুলিশ সদর দপ্তর ও এসবির নীতিনির্ধারক পর্যায়ের কর্মকর্তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রভাবশালী কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চলছেন। অনেকেই ওএসডি হলেও এদের মধ্যে কেউ কেউ নতুন করে পদও বাগিয়ে নিয়েছেন মোটা অংকের টাকা খরচ করে। রাতের ভোটের কারিগর বলে পরিচিত এসপি, ডিসি, ডিআইজি, পুলিশ সদর দপ্তর ও এসবির নীতিনির্ধারক পর্যায়ের কর্মকর্তারা বিপুল অঙ্কের অবৈধ আয়ের কর ফাঁকি দেওয়ার দুদকের তদন্ত অনেকটাই থেমে গেছে। অনেকেই আবার পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে বহাল তবিয়তে চাকরি করে যাচ্ছেন।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশ-বিদেশে ব্যাপকভাবে আলোচিত-সমালোচিত ২০১৮ সালের রাতের ভোটের নির্বাচনে প্রধান ভূমিকায় ছিল পুলিশ বাহিনী। এসবি ও পুলিশ সদর দপ্তরের কয়েকজন পদস্থ কর্মকর্তাসহ মাঠপর্যায়ে প্রতিটি জেলার পুলিশ সুপাররা ওই অপকর্মে মুখ্য ভ‚মিকা পালন করেন। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে ওইসব পুলিশ কর্মকর্তা পেশাদারিত্বের বাইরে গিয়ে উল্টো বিরোধী দলসহ সাধারণ জনগণের ওপর দমন-পীড়নে নেতৃত্ব দেন। আওয়ামী লীগও টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় টিকে গিয়ে ওইসব পুলিশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি ও পোস্টিংয়ের পাশাপাশি নানা অবৈধ সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলেও তার দোসর পুলিশের ঊর্ধ্বতন সেই কর্মকর্তারা এখনো বহাল তবিয়তে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন এবং জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বেতন-ভাতা তুলছেন।
পুলিশের সেই ভোট ডাকাতরা এখন কে কোথায়? ঢাকার শাহ মিজান শাফিউর রহমান বর্তমানে ডিআইজি রেলওয়ে পুলিশ ঢাকায় সংযুক্ত, নরসিংদীর মিরাজ উদ্দিন বর্তমানে ডিআইজি রেলওয়ে পুলিশ ঢাকায় সংযুক্ত, গাজীপুরের শামছুন্নাহার বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি সারদায় সংযুক্ত, শরীয়তপুরের আব্দুল মোমেন বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি সংযুক্ত ডিএমপি, নারায়ণগঞ্জের হারুন অর রশীদ বর্তমানে ডিআইজি সাময়িক বরখাস্ত ও পলাতক, টাঙ্গাইলের সঞ্জিত কুমার রায় বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি ডিএমপিতে সংযুক্ত, কিশোরগঞ্জের মাশরুকুর রহমান খালেদ বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি বরিশাল রেঞ্জ, মানিকগঞ্জের রিফাত রহমান শামীম বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি চট্টগ্রাম রেঞ্জ, মুন্সীগঞ্জের মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি এপিবিএন খাগড়াছড়ি সংযুক্ত, রাজবাড়ীর আসমা সিদ্দিকা মিলি বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার রংপুর, মাদারীপুরের সুব্রত কুমার হাওলাদার বর্তমানে এসপি সারদা, গোপালগঞ্জের মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি স্টাফ কলেজ, ফরিদপুরের জাকির হোসেন খান বর্তমানে ডিআইজি পিবিআই ঢাকায় সংযুক্ত, কুমিল্লার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বর্তমানে ডিআইজি সারদায় সংযুক্ত, ফেনীর এসএম জাহাঙ্গীর আলম বর্তমানে এসপি ট্যুরিস্ট পুলিশ সদর দপ্তর ঢাকা, বি-বাড়িয়ার আনোয়ার হোসেন খান বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি আর আর এফ চট্টগ্রাম, রাঙামাটির আলমগীর কবির বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি সারদায়, নোয়াখালীর ইলিয়াস শরিফ বর্তমানে ডিআইজি এন্টি টেরোরিজম ইউনিট ঢাকায় সংযুক্ত, চাঁদপুরের জিহাদুল কবির বর্তমানে ডিআইজি পিবিআই ঢাকায় সংযুক্ত, লক্ষীপুরের মাহতাব উদ্দিন বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি ময়মনসিংহ রেঞ্জ, চট্টগ্রামের নুরে আলম মিনা বর্তমানে ডিআইজি সারদায় সংযুক্ত, কক্সবাজারের মাসুদ হোসেন বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি সারদা, খাগড়াছড়ির আহমার উজ্জামান বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি সারদা, বান্দরবানের জাকির হোসেন বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি বরিশাল, ময়মনসিংহের শাহ আবিদ হোসেন বর্তমানে ডিআইজি স্টুরিস্ট পুলিশ ঢাকায় সংযুক্ত, শেরপুরের কাজী আশরাফুল আজিম বর্তমানে এসপি চট্টগ্রাম রেঞ্জ, জামালপুরের দেলোয়ার হোসেন বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি সিআইডি, নেত্রকোনার আকবর আলী মুন্সি বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি ইন সার্ভিস সেন্টার লালমনির হাট, সিরাজগঞ্জের জেলায় টুটুল চক্রবর্তী বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি খুলনা রেঞ্জে সংযুক্ত, পাবনার শেখ রফিকুল ইসলাম বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি এপিবিএন খাগড়াছড়ি, বগুড়ার আলী আশরাফ ভুইয়া বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি বেতবুনিয়া রাঙামাটি, রাজশাহীর শহিদুল্লাহ বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি খুলনা রেঞ্জ, নাটোরের সাইফুল্লাহ আল মামুন বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি শিল্পাঞ্চল পুলিশ, জয়পুরহাটের রশীদুল হাসান বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি পিবিআই সদর দপ্তর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের মোজাহিদুল ইসলাম বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি এন্টি টেরোরিজম ইউনিট খুলনা, নওগাঁর ইকবাল হোসেন বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি হাইওয়ে, সাতক্ষীরার সাজ্জাদুর রহমান বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি রংপুর রেঞ্জ, মেহেরপুরের মোস্তাফিজুর রহমান বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি রাজশাহী রেঞ্জ, নড়াইলের জসিম উদ্দিন বর্তমানে এসপি ডিএমপি, কুষ্টিয়ার তানভির আরাফাত বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি সিলেট রেঞ্জ অফিস, মাগুড়ার খান মোহাম্মদ রেজুয়ান বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি এসপিবিএন টু, খুলনার এস এম শফিউল্লাহ বর্তমানে এসপি রংপুর রেঞ্জ, বাগেরহাটের পংকজ চন্দ্র রায় বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি রেলওয়ে সদর দপ্তর, ঝিনাইদহের হাসানুজ্জামান বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি সিআইডি, পটুয়াখালীর মইনুল হাসান বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি শেরপুর, পিরোজপুরের সালাম কবির বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি সিআইডি ময়মনসিংহ, বরিশালের সাইফুল ইসলাম বর্তমানে ডিআইজি সারদা সংযুক্ত, ভোলার মোক্তার হোসেন বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি সারদা, বরগুনার মারুফ হোসেন বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি নোয়াখালী পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, সিলেটের মনিরুজ্জামান বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি এসবি, হবিগঞ্জের মোহাম্মদ উল্লাহ বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি পুলিশ সদর দপ্তর, সুনামগঞ্জের বরকত উল্লাহ খান বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি হাইওয়ে পুলিশ সদর দপ্তর, পঞ্চগড়ের গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি এপিবিএন সদর দপ্তর, দিনাজপুরের সৈয়দ আবু সায়েম বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি পিবিআই, লালমনিরহাটের রশিদুল হক বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি সারদা সংযুক্ত, গাইবান্ধার আব্দুল মান্নান মিয়া বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি রংপুর রেঞ্জ, ঠাকুরগাঁওয়ের মনিরুজ্জামান বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি এন্টি টেরোরিজম ইউনিট ময়মনসিংহ, রংপুরের মিজানুর রহমান বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি বরিশাল রেঞ্জ, কুড়িগ্রামের মেহেদুল করিম বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি আর আর এফ রংপুর, নীলফামারির আশরাফ হোসেন বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার নোয়াখালী।
এর বাইরে, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় পুলিশপ্রধানের দায়িত্বে ছিলেন জাভেদ পাটোয়ারী। পুলিশ সদর দপ্তরে ডিআইজি প্রশাসন হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন হাবিবুর রহমান। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার ছিলেন আছাদুজ্জামান মিয়া। ডিএমপির তৎকালীন উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, প্রলয় কুমার জোয়াদ্দার, সিটিটিসি প্রধান মনিরুল ইসলাম, র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ ও র‌্যাবের ১৪টি ব্যাটালিয়ন প্রধান এবং নারায়ণগঞ্জের তৎকালীন পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদসহ গোপালগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ এলাকায় বাড়ি এমন পুলিশ কর্মকর্তাদের সিন্ডিকেট ওই নির্বাচনে রাতের ভোটের মূল কারিগর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ওই নির্বাচনের পর আর রাতের ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে সহযোগিতার পুরস্কার হিসেবে ৬৪ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) ও র‌্যাবের ১৪টি ব্যাটালিয়ন প্রদানসহ ৩৪৯ জনকে পুলিশ সপ্তাহে পদকও দেওয়া হয়। ওই বছর সর্বোচ্চ পদক দেওয়া হয় পুলিশকে। বাংলাদেশ পুলিশের ইতিহাসে যা এর আগে আর কখনোই হয়নি।

এম/আর

Link copied!