দেশের মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে উপকূলীয় জলাশয় ও নদী অববাহিকায় ১০ মিটারের কম গভীরতায় মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী সকল অবৈধ জাল অপসারণে বাংলাদেশ নৌবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে সরকার কর্তৃক জারিকৃত ‘বিশেষ কম্বিং অপারেশন’সমাপ্ত হয়েছে। গত ১২ জানুয়ারি ২০২৫ হতে শুরু হয়ে ৪টি ধাপে পরিচালিত এই অভিযানে মোট ১৩২ কোটি ৪৭ লক্ষ ৬৬ হাজার ১শত টাকার অবৈধ জাল ও জাটকা জব্দ করা হয়।
শুক্রবার (২৮ফেব্রুয়ারি) ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ এর আওতায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিশেষ কম্বিং অপারেশন সমাপ্ত হয়েছে।

জানা যায়, মৎস্য নিধনের ধ্বংসাত্মক অপতৎপরতা বন্ধের লক্ষ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনী চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, শরীয়তপুর, বরিশাল, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা ও মুন্সিগঞ্জসহ মোট ১৬ টি জেলায় বিশেষ কম্বিং অপারেশন পরিচালনা করে। এ অপারেশনে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ১২টি জাহাজ-ঘাঁটি এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বোট মোতায়েন করা হয়। গত ১২ জানুয়ারি থেকে ১৯ জানুয়ারি, ২৫ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি, ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি এবং ২১-২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত ৪টি ধাপে মোট ৩০৩ টি অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে কারেন্ট জাল, মশারি জাল, চায়না দুয়ারি জাল, সুতার জাল, বাধা জালসহ সর্বমোট ১ কোটি ৭৬ লক্ষ ৬৫ হাজার ৮শ মিটার অবৈধ জাল জব্দ করা হয়। এছাড়াও বেহুন্দি, টং জাল, চায়না রিংসহ সর্বমোট ৫৪২টি বিভিন্ন ধরনের নিষিদ্ধ জাল এবং ১০৯ কেজি জাটকা উদ্ধার করা হয়। যার মূল্য ১৩২ কোটি ৪৭ লক্ষ ৬৬ হাজার ১ শত টাকা। অভিযানে জব্দকৃত অবৈধ জালসমূহ স্থানীয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং জাটকা মাছ স্থানীয় এতিমখানায় দান করা হয়। পাশাপাশি এ সকল অবৈধ জাল ব্যবহার বন্ধে এবং বৈধ মৎস আহরণে তৎসংলগ্ন এলাকাসমূহে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ২০২১ সাল হতে উপকূলীয় জেলাসমূহে বিশেষ কম্বিং অপারেশন পরিচালনা করে আসছে। এছাড়া বর্তমানে জাটকা নিধন বন্ধের লক্ষ্যে ৯ টি জেলায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৭টি জাহাজ-ঘাঁটি নিয়োজিত রয়েছে।