ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ, ২০২৫

টিউলিপ সিদ্দিকের দুর্নীতি তদন্তে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে যুক্তরাজ্য

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ৫, ২০২৫, ০৯:০৪ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ যুক্তরাজ্যে গেছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে পারে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ। লন্ডনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ এমপি ও শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকের দুর্নীতির তদন্তে বাংলাদেশকে সহায়তা করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে যুক্তরাজ্যের জাতীয় অপরাধ সংস্থা (এনএসি)।

বুধবার (৫ মার্চ) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে স্কাই নিউজ জানিয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে টিউলিপ সিদ্দিকের দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত করে বিচার দাবি করেন। এরপরই জানা যায়, ব্রিটিশ তদন্ত সংস্থাগুলো বাংলাদেশকে সহায়তা করার বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে।

স্কাই নিউজের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী সহযোগী কেন্দ্র (আইএসিসিসি) বাংলাদেশকে এ তদন্তে সহায়তা করবে। প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাজ্যের জাতীয় অপরাধ সংস্থার (এনএসি) অধীনে পরিচালিত এবং ব্রিটিশ সরকারই এর অর্থায়ন করে।

এর আগে, ২০২৩ সালের অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে ব্রিটিশ অপরাধ সংস্থার কর্মকর্তারা বাংলাদেশ সফর করেন। তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, টিউলিপ সিদ্দিক ও আওয়ামী লীগের অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পর্যালোচনা করেন।

২০২৩ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়েন। এরপর টিউলিপ সিদ্দিকের দুর্নীতির বিষয়টি সামনে আসে।

অভিযোগ রয়েছে, টিউলিপ লন্ডনে মাল্টিমিলিয়ন ডলারের একটি ফ্ল্যাট উপহার হিসেবে গ্রহণ করেছেন, কিন্তু তা গোপন করেছেন। বিষয়টি ফাঁস হলে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে তিনি ব্রিটিশ সরকারের মন্ত্রিত্ব ছাড়তে বাধ্য হন।

এছাড়া, বাংলাদেশের অবকাঠামোগত ব্যয়ের অংশ হিসেবে শেখ হাসিনার পরিবারের ৩.৯ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে টিউলিপ সিদ্দিকের নাম উঠে এসেছে।

টিউলিপ সিদ্দিকের একজন মুখপাত্র জানান, তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তার বক্তব্য, ফ্ল্যাট উপহারের বিষয়টি না জানানো একটি তথ্যগত ভুল ছিল, তবে তিনি অবৈধ কোনো সম্পদ অর্জন করেননি।

ব্রিটিশ তদন্ত সংস্থাগুলো টিউলিপের বিরুদ্ধে আলাদা কোনো তদন্ত করছে না বলে জানিয়েছে স্কাই নিউজ। তবে তারা বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অর্থ পাচার হয়েছে কিনা তা অনুসন্ধান করবে।

এদিকে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে তদন্তের কারণে যুক্তরাজ্যে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়েছে।