বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে নেতা-কর্মী ও নিরীহ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত হয়রানিমূলক ৪ হাজার ৬১৫ মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে আইন মন্ত্রণালয় কমিটি।
বুধবার (৫ মার্চ) মধ্যরাতে গণমাধ্যমে পাঠানো আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এ-সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য থেকে বিষয়টি জানা গেছে। এতে বলা হয়, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সভাপতিত্বে ‘রাজনৈতিক হয়রানিমূলক’ মামলা প্রত্যাহারে সুপারিশ করার লক্ষ্যে গঠিত মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটি এ পর্যন্ত ছয়টি সভায় মোট ৪ হাজার ৬১৫টি মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে।
বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও অন্যান্য কারণে রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও নিরীহ ব্যক্তিগণের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত হয়রানিমূলক মামলাসমূহ প্রত্যাহারে সুপারিশ করার লক্ষ্যে জেলা ও মন্ত্রণালয় পর্যায়ে দুটি কমিটি গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটির সভাপতি হচ্ছেন আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা। সদস্য হচ্ছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, অতিরিক্ত সচিব (আইন ও শৃঙ্খলা) ও যুগ্মসচিব (আইন) এবং আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি। কমিটির সদস্য-সচিব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের আইন-১ শাখার উপসচিব/সিনিয়র সহকারী সচিব/ সহকারী সচিব।
এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ১৬ হাজার ৪২৯টি রাজনৈতিক, হয়রানিমূলক মামলার তালিকা করা হয়েছে। তালিকার পর প্রত্যেক মামলার রেকর্ড ঘেঁটে আমাদের দেখতে হয়, এটা আসলেই রাজনৈতিক হয়রানিমূলক গায়েবি মামলা নাকি এটা কোনোরকম অনিয়ম বা কারচুপি করে ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যক্তির হত্যা মামলাতো প্রত্যাহার করতে পারি না। প্রতিটা কেস রেকর্ড দেখে দেখে নিশ্চিত হতে হচ্ছে।
তিনি জানিয়েছিলেন, এ প্রক্রিয়ায় ১৬ হাজার ৪২৯টি গায়েবি মামলার মধ্যে এক হাজার ২১৪টি মামলা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যাহার করা হবে।