এনআইডি সেবা ইসিতে রাখতে আন্দোলনে নামছেন কর্মকর্তারা

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০২৫, ০৪:১৩ পিএম

এনআইডি সেবা ইসিতে রাখতে আন্দোলনে নামছেন কর্মকর্তারা

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংক্রান্ত সেবা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে রাখার দাবিতে আন্দোলনে যেতে পারেন এনআইডি অনুবিভাগের কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) এ দাবিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের দপ্তরের সামনে জড়ো হন তারা।

কর্মকর্তারা জানান, এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশনের আওতা থেকে সরানোর যে পরিকল্পনা চলছে, তা প্রতিহত করতেই তাদের এই পদক্ষেপ। তারা বলেন, যদি দাবি মানা না হয়, তাহলে প্রথমে অর্ধদিবস কর্মবিরতি, পরবর্তী পর্যায়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি এবং চূড়ান্তভাবে নির্বাচন কমিশনের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে।

এদিকে, জন্মনিবন্ধন, এনআইডি ও পাসপোর্ট সেবা একত্রিত করে একটি স্বতন্ত্র কমিশন গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে ‘সিভিল রেজিস্ট্রেশন (কমিশন), ২০২৫’ শীর্ষক একটি অধ্যাদেশ প্রণয়নের জন্য কাজ চলছে। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে মতামত গ্রহণ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

জানা গেছে, অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ইসি সচিবালয়ের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া আইন পর্যালোচনা এবং মতামত প্রদানের জন্য একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এনআইডি সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেওয়ার জন্য যে আইন প্রণীত হয়েছিল, তা বাতিলের দাবি জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। তারা চায়, এনআইডি সেবা আগের মতো নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকুক। এই প্রস্তাব ইতোমধ্যে উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনও পেয়েছে।

এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা নিজেদের অধীনে রাখার জন্য নির্বাচন কমিশনের পাঠানো প্রস্তাব উপদেষ্টা পরিষদ দ্রুততম সময়ে অনুমোদন দিয়েছে।

অন্যদিকে, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন সরকারের কাছে একটি পৃথক ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন সংস্থা’ গঠনের সুপারিশ করেছে। তবে, এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে সিইসি বলেন, ভোটার এনআইডি কার্ড ও ভোটার রেজিস্ট্রেশন যদি অন্য একটি স্বাধীন অধিদপ্তরে স্থানান্তর করা হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। এটি অসম্ভব!

এনআইডি সেবা সংক্রান্ত নতুন আইন প্রণয়ন নিয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ সময়োপযোগী। তবে, এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশনের আওতাধীন না রেখে স্বতন্ত্র সংবিধিবদ্ধ সংস্থার মাধ্যমে পরিচালনা করা উচিত।

তারা আরও বলেন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ও এনআইডি সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে অনাবশ্যক জটিলতা পরিহার করা জরুরি। এজন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে অধ্যাদেশটি পরিমার্জন করা যেতে পারে।

আরবি/একে

Link copied!